আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে অনেকেই অভ্যস্ত থাকেন। সেই তালিকায় বর্তমানে মহিলারা অনেক বেশি থাকেন। তবে এখান থেকেই বাড়ছে হার্টের নানা ধরণের অসুখ।
যদি হঠাৎ করে হার্টে ব্যাথা অনুভব করতে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সকলেই ছুটে যান চিকিৎসকের কাছে। এরপর প্রয়োজনীয় ওষুধ খেয়ে ফের একবার নিজের স্বাভাবিক জীবনকে পান সকলেই। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা সকলের সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে মহিলাদের মধ্যে হার্টের অসুখের হার বাড়ছে।
আটটি বিশেষ অভ্যাস হার্টের পরিস্থিতি খারাপ করতে ওস্তাদ। সেখানে রয়েছে ডায়েট, ঘুম, শারীরিক কসরত, ধূমপান, মদ্যপান, কাজের সময় না মানা, পেট খালি রাখা। যদি এগুলি কারও বেশি হয় তাহলে তার হার্ট নিজে থেকে খারাপ হতে বাধ্য। দেখা গিয়েছে বর্তমান যুগের জেট মহিলারা নিজেদের জীবনকে নিজের মতো করে বাঁচতে চান। ফলে তারা নিজেদের বিলাসবহুল জীবনের জন্য হার্টের নানা ধরণের অসুখ বাঁধিয়ে বসেন।
আমেরিকার একটি কলেজে এবিষয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে হার্ট সুস্থ রাখতে বর্তমান সময়ের মহিলারা একেবারেও চিন্তা করেন না। তবে তারা ভুলে যান যত বেশি করে তারা বেহিসেবি জীবন পালন করেন ততই তাদের হার্ট ক্ষয় হতে শুরু করে। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে বিগত ১১ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই সমস্যায় ভুগছেন মহিলারা।
যেসব মহিলার বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর তাদের মধ্যেই এই প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। এই বয়সের মহিলাদের মধ্যে হার্টের নানা ধরণের রোগ দেখা দিয়েছে। অল্প বয়সেই তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন নাহলে হার্টের অসুখে সারা জীবন ধরে ওষুধের উপরেই থাকছেন।
কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা বাড়ছে। সেখানে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে স্ট্রোক, সবই থাকছে। রক্তের প্রবাহ কমে গিয়ে মহিলারা অতি দ্রুত কমজোরি হয়ে পড়ছে। ফলে সামান্য কারণেই তারা হার্টের সমস্যার সামনে পড়ছেন। অনেক সময় ঘটছে মৃত্যুও।
