আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তান-আফগানিস্তান। বর্তমানে এই দুই দেশ জড়িয়েছে সংঘর্ষে। আফগানিস্তান শুরু থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানকে, বার্তা রোয়াত নয় কোনওকিছুই। সীমান্ত বন্ধ করে ফাঁপরে ফেলেছে সে দেশকে। এবার পাক-মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও যেন স্পষ্ট, আসলে যুদ্ধের অজুহাত খুঁজছে পাকিস্তান।
শনিবার ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে, যদিও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আলোচনা শেষ হওয়ার আগে, তা ব্যর্থ হলে কী পরিণাম হতে পারে, তা নিয়ে মতামত রেখেছেন। আসিফের মন্তব্যে তুমুল সমালোচনার ঝড়। কী বলেছেন তিনি? খহাজা আসিফ জানিয়েছেন, এই দফার আলোচনা ব্যর্থ হলে, 'ওপেন ওয়ার' শুরু হবে। শিয়ালকোটে তিনি বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, এই দফার বৈঠক ব্যর্থ হলে, পাকিস্তানের আফগানিস্তানের সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর যুদ্ধে জড়ানো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। যদিও দুই দেশ শান্তি চাইছে বলেই তিনি মনে করছেন, জানিয়েছেন সেকথাও। কাতার ও তুরস্কের যৌথ মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের প্রথম দফা আলোচনা ১৮-১৯ অক্টোবর দোহায় হয়েছিল। কাতারের দোহায় বসেছিল শান্তি বৈঠক। গত রবিবার সকালে কাতার বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানায়, দুই দেশ রাজি হয়েছে 'ইমিডিয়েট সিজফায়ার'-এ। তবে তার পরেও যে, শান্তি ফেরেনি, তা স্পষ্ট। উলটে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়।
ফলে তার পরেই, ঠিক পরের সপ্তাহে পুনরায় বৈঠক। আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রহমতুল্লাহ মুজিব এবং আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর আহমেদ নূরের ভাই আনাস হাক্কানি, পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন দুই সদস্যের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।
পাক-আফগান যুদ্ধ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দুই দেশ দুই দেশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। একদিকে পাকিস্তান অভিযোগ তুলেছিল, আফগানভূমে মদত দেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের, আফগানিস্তান কেবল তা অস্বীকারই করেনি, উলটে একই অভিযোগ আনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। মাঝে বুধবার দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টা সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছিল। সেই ৪৮ঘণ্টার সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায় নতুন করে।
গত শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয় শনিবার, ‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটাররা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’
এর মধ্যেই, দিনকয়েক আগেই, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরিক–ই–তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। ভিডিওবার্তায় মুনিরকে লক্ষ করে বলা হয়, ‘যদি পুরুষ হও তো আমাদের সামনে এস।’
