আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ-পশ্চিম কলকাতার বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার পারুই পাকা রোডে মর্মান্তিক ঘটনা। বৃহস্পতিবার এলাকারই একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার জ্বলন্ত দেহ। নিজের বাড়ির ব্যালকনিতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই বয়স্ক মহিলার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতার নাম সর্বাণী পাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে যে, ২০/১, পারুই পাকা রোডের একটি বাড়িতে আগুনে পুড়ে গিয়েছেন এক মহিলা। খবর পেয়ে পর্ণশ্রী থানার আধিকারিক এসআই দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ সর্বাণী দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: সফল লক্ষ্যভেদ অগ্নি-৫ এর, ভারতের নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল কীভাবে পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে

পুলিশকে মৃতার স্বামী মৃণাল কান্তি পাল জানান, তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির মূল দরজার তালা খুলে উপরে যান। কিন্তু প্রথম তলার ঘরে স্ত্রী সর্বাণী পাল ওরফে বীণাকে খুঁজে পাননি। এরপর কেরোসিনের গন্ধ পেয়ে ব্যালকনির দিকে এগিয়ে যান এবং স্ত্রীর দগ্ধ ও নিস্তেজ দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি সবুজ রঙের কেরোসিন বোতল ও একটি গ্যাস লাইটার উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, শোওয়ার ঘরের টেবিল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: 'নোরা ফতেহির মতো বউ চাই', স্ত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করতে জোর, সরু কোমরের জন্য ভ্রুণ নষ্ট করলেন স্বামী

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল যে, দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ব্লাড সুগার, সায়াটিকা ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন সর্বাণী দেবী। শারীরিক যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়ে তিনি নিজের জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নোটে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার ছেলে বর্তমানে বিদেশে কর্মরত। এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

আরও পড়ুন: সবার অলক্ষ্যে শাহজাহান-মুমতাজের কবরে ঢুকে পড়লেন এক পর্যটক, তাজমহলের গোপন স্থানে গিয়ে চমকে গেলেন, দেখুন ভিডিও

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তদন্ত চলছে এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।