আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভোটের আগে থেকে সুর চড়াচ্ছেন নানা বিষয়ে। তবে বিপদ যেন বাড়ল তাঁরই। শুক্রবার আদালতের রায়ে বড় অস্বস্তি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ২০২২ সালে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীকে যে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন, তা এদিন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সূত্রের তথ্য তেমনটাই।
২০২২ সালে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, কোনও অন্তবর্তী নির্দেশিকা অনন্তকাল জারি থাকতে পারে না। একইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল।
আরও পড়ুন: রাস্তায় গর্ত খুঁজে দেবে এবার এআই! ভারতের ২০ হাজার কিমি সড়কে নজরদারি রোবটের
আদালতের রায় সামনে আসতেই এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা শুভেন্দু অধিকারীর। বিচারপতি মান্থা যে অনির্দিষ্টকালের রক্ষাকবচ দিয়ে গিয়েছিলেন, বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। খারিজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্য সরকার যা বলছিল, তা মান্যতা পেয়েছে।'

একটি বিষয়ে এদিন প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তাঁর প্রশ্ন 'একজন ব্যক্তি কোনও মামলায় রক্ষাকবচ পেতে পারেন। একজন ব্যক্তি একাধিক মামলায়, ক্ষেত্রবিশেষে রক্ষাকবচ পেতে পারেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি ভবিষ্যতে কী করবেন, সেটা না জেনে, আদলত কখন, কীভাবে রক্ষা কবচ দেন? বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেছেন, অনিদির্ষ্টকাল এটা চলতে পারে না। তিনি প্রত্যাহার করেছেন। তিনি আরও কয়েকটি মামলা খারিজ করেছেন।' পাঁচটি মামলার তদন্ত করবে এসআইটি।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দুনিয়ায় পীযূষ মানেই 'কুছ খাস হ্যায়', ক্যাডবেরি থেকে ফেভিকল, আমজনতার
একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারপতি মান্থার রক্ষাকবচের উপর ভর করে শুভেন্দু আপত্তিকর কথা, অশালীন কথা, একের পর এক প্ররোচনামূলক আচরণ করে এসেছেন, আইনকে তোয়াক্কা না করেই। তাই আদালতের এই নির্দেশ শুভেন্দুকে 'জোর কা ঝটকা' ধীরে দিল বলেই মত তৃণমূল নেতার।
