আজকাল ওয়েবডেস্ক: গম্ভীরের মান রাখলেন হর্ষিত রানা। সিডনিতে নিলেন চার উইকেট। ৮.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে চার উইকেট তুলে নিলেন হর্ষিত। রান দিয়েছেন ৩৯। তাঁর শিকারের তালিকায় অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কনোলি, মিচেল ওয়েন ও জশ হ্যাজলেউড।
ভাল শুরু করেও অস্ট্রেলিয়া থেমে গেল ২৩৬ রানে। খেলতে পারল না পুরো ওভারও। ৪৬.৩ ওভারেই শেষ মার্শদের ইনিংস।
আরও পড়ুন: মান্ডবীর তীরে ম্যাকলারেন জাদু, জয় দিয়ে সুপার কাপ শুরু শিল্ড জয়ীদের...
শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিলেন মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড। শুরুর দু’ওভার দেখে নিয়ে এরপর চালাতে শুরু করেন মার্শ ও হেড। কিন্তু দলীয় ৬১ রানের মাথায় ফিরে যান হেড (২৯)। মার্শ (৪১) যখন ফেরেন তখন রান ৮৮। অ্যাডিলেডে অর্ধশতরান করা ম্যাথু শর্ট (৩০) রান পাননি। দলের হাল ধরেন ম্যাট রেনশ (৫৬) ও অ্যালেক্স ক্যারি (২৪)। কিন্তু রেনশ ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অজিদের ইনিংস। ১৯৫/৫ থেকে ২৩৬ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস।
এহেন হর্ষিত রানাকে নিয়ে কালি খরচ হয়েছিল সাংবাদ মাধ্যমে। তিনি গৌতম গম্ভীরের ইয়েসম্যান হওয়ায় দলে জায়গা পান বলে শোনা গিয়েছিল। এদিন হর্ষিত রানা সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন।
এদিন তিনি শুভমান গিলের কথা না শুনে রোহিত শর্মার কথা শোনেন। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন রানা।
হর্ষিত রানাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কার উইকেট নিয়ে তিনি বেশি খুশি হয়েছেন? ভারতের অলরাউন্ডারের বক্তব্য, ''মিচ ওয়েনের উইকেটটা ফেভারিট। আমি গল্পটা বলছি আপনাদের। শুভমান গিল আমাকে স্লিপ দিতে চেয়েছিল। আমি বলে দিই, স্লিপের দরকার নেই। রোহিত ভাইয়া দাঁড়িয়েছিলেন কভারে। আমাকে বলে ওঠেন, স্লিপ নিয়ে নে। আমি যাচ্ছি স্লিপে। আমি মেনে নিই। বলি ঠিক আছে ভাইয়া, আপনি দাঁড়ান। আমি উইকেটটা পাই।''
৩৮-তম ওভারে রানার ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তোলেন ওয়েন। রোহাতি ক্যাচটি ধরেন। উইকেট পাওয়ার পরে রানার দিকে রোহিত আঙুল তুলে হাসেন। তাঁর পরামর্শ যে সঠিক ছিল, সেটা ইঙ্গিতে বোঝান রোহিত। নেতৃত্ব চলে যেতে পারে রোহিতের হাত থেকে কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতা নব্য তারকাদের কাজে লাগছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সেটাই দেখা গেল।
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব পাওয়ার পরে নিজেকে দোষী বলে মনে করেছিল গিল, রহস্য ফাঁস করলেন দেশের প্রাক্তন তারকা
