আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিডনিতে নজির গড়লেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ০.৬৭ সেকেন্ড সময়ে ম্যাথু শর্টের ক্যাচ ধরেছেন ৩৬ বছরের বিরাট। শুধু তাই নয়, শনিবার সিডনিতে ফিল্ডার হিসাবে একটি নজির গড়েছেন কোহলি। ফিল্ডার হিসাবে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোহিত শর্মাও।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ২৩ তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে জোরালো সুইপ মেরেছিলেন শর্ট। কোহলির কাছে সময় কম ছিল। তাও অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ ধরেন তিনি। পরে হর্ষিত রানার বলে কুপার কনোলির ক্যাচও ধরেছেন কোহলি। দুটি ক্যাচ ধরেছেন রোহিতও।
সিডনি ম্যাচে জোড়া ক্যাচে বিরাট গড়েছেন একটি নজির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার বিশ্বরেকর্ড করলেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে কোহলির ক্যাচের সংখ্যা হল ৭৭। তিনি টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬টি ক্যাচ ধরেছেন স্মিথ। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনে। তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়েছেন ৭২টি ক্যাচ। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন অ্যালান বর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন ৭১টি ক্যাচ। তালিকায় পঞ্চম স্থানেও রয়েছেন জয়বর্ধনে। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়েছেন ৬৮টি ক্যাচ।
শনিবার সিডনিতে দু’টি ক্যাচ নিয়েছেন রোহিতও। সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ক্যাচ ধরার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার নজির রয়েছে কোহলির। সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ক্যাচের সংখ্যা হল ১৬৪। রোহিত রয়েছেন এই তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে।
ওয়ানডে আন্তর্জাতিকে ক্যাচ ধরার নিরিখে সফলতম ভারতীয় ক্রিকেটারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তাঁর ক্যাচের সংখ্যা ১৫৬। তৃতীয় স্থানে থাকা শচীন তেন্ডুলকারের ক্যাচের সংখ্যা ১৪০। তার পর রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের ১২৪টি ক্যাচ। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন সুরেশ রায়না। তাঁর ক্যাচের সংখ্যা হল ১০২।
এদিকে, টিম ইন্ডিয়ার অন্দরে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। সিডনিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেলেন সহ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তখন ব্যাট করছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। বোলার হর্ষিত রানা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৩৪ তম ওভারের ঘটনা। ক্যারির শটটা উপরে উঠে গিয়েছিল। উল্টোদিকে বেশ কিছুটা ছুটে গিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শ্রেয়স। কিন্তু ভারসাম্য না রাখতে পেরে মাটিতে পড়ে যান। শ্রেয়সের কোমরের বাঁদিকে ভালই চোট লাগে। যদিও ক্যাচটি মিস করেননি তিনি। এরপরই মাঠ থেকে বেরিয়ে যান শ্রেয়স।
শর্ট থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করছিলেন শ্রেয়স। বলটি ঠিকঠাক ব্যাটে বলে হয়নি ক্যারির। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঁচুতে উঠে যায়। শ্রেয়স উল্টোদিকে দৌড়ে ক্যাচ ধরেন। কিন্তু বেশ জোরের সঙ্গেই তিনি মাটিতে পড়েন ও চোট পান।
এরপর শ্রেয়সের শুশ্রুষার জন্য মাঠেই চলে আসেন ফিজিও। বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই শুয়েছিলেন শ্রেয়স। খেলা ছিল বন্ধ। এরপর ফিজিওর সাহায্যে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান শ্রেয়স। আর ফিল্ডিং করতে পারেননি। বাকি সময়টা ফিল্ডিং করেন যশস্বী জয়সওয়াল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এখনও সরকারিভাবে শ্রেয়সের চোট নিয়ে কিছু বলা হয়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে ব্যাট করতে সমস্যা হবে না শ্রেয়সের। চোট হয়ত গুরুতর নয়।
