আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ভাল অধিনায়ক হতে পারবেন শুভমন গিল?‌ সময় বলবে। সবে মাত্র তিনটি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন গিল। জিতেছেন একটি। হেরেছেন দুটি। 


এদিকে, ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন বলেছেন, ভাল অধিনায়ক হতে গেলে ধোনির মতো ম্যান ম্যানেজমেন্ট শিখতে হবে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচের মতে, প্রথম দর্শনে বেশ ভাল লেগেছে গিলের অধিনায়কত্ব। কিন্তু ভাল অধিনায়ক হতে গেলে ম্যান ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত জরুরি।
আপাতত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে ব্যস্ত ভারত। সদ্য অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া গিল ব্যাট হাতে প্রথম দুই টেস্টে প্রচুর রান করেছেন। টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম ডবল সেঞ্চুরি, পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি–একঝাঁক নজির গড়ে ফেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন অধিনায়ক। তবে লর্ডস টেস্টে রান পাননি। আবার তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে তাঁর শরীরীভাষা যথেষ্ট আগ্রাসী ছিল না বলেই মত ক্রিকেট অনুরাগীদের। আবার লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে গিলের আগ্রাসনকে ‘বিরাট কোহলির মতো অভিনয়’ বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে। দুই টেস্টেই ভারত হারার পরে নেতা শুভমনের সমালোচনাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।


যদিও শুভমন গিলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন গ্যারি কার্স্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথায়, ‘‌আমার মনে হয় ওর মধ্যে ভাল অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নেতৃত্ব দিতে গেলে অনেক কিছুই মাথায় রাখতে হয়। গিল নিজে ভাল ক্রিকেটার, খেলাটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। তবে ভাল অধিনায়ক হতে গেলে এক সঙ্গে অনেক কিছু একেবারে নিখুঁত হতে হয়।’‌ 


ভাল অধিনায়ক হতে গেলে ম্যান ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। তাঁর কথায়, ‘‌আমার মনে হয় দলের খেলোয়াড়দের ম্যানেজ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে ধোনি অসাধারণ ছিল। শুভমন যদি ম্যান ম্যানেজমেন্টটা দারুণভাবে করতে পারে, তাহলে আমি মনে করি ভারতীয় দলের অনবদ্য ক্যাপ্টেন হতে পারে ও।’‌ তবে কার্স্টেনের মতে, অধিনায়ক হিসাবে এখনও কিছুটা সময় দিতে হবে শুভমনকে। তবেই গিল আরও পরিণত হবে বলেই মত কার্স্টেনের। 

 

আরও পড়ুন:‌ ওহে গম্ভীর ও শুভমন, সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে এই ক্রিকেটারকে খেলাও!‌ কার কথা বললেন এই প্রাক্তনী...

এদিকে ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট। সেই টেস্টে ভারতের প্রথম একাদশে একাধিক বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। বুমরা ম্যাঞ্চেস্টারে খেলবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আগেই বলা হয়েছিল ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে বুমরাকে তিনটির বেশি টেস্ট খেলানো হবে না। ইতিমধ্যেই দুটি টেস্ট খেলে ফেলেছেন বুমরা। যা পরিস্থিতি তাতে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে বুমরা খেলবেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের মধ্যে অনেকটা গ্যাপ থাকায় মনে করা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টারে বুমরাকে খেলানো হলেও হতে পারে।


এদিকে, বিরাট–রোহিতের টেস্ট অবসরের পর আট বছর পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন হয়েছে করুণ নায়ারের। স্বাভাবিক ভাবেই এই সিরিজে বাড়তি নজর ছিল টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার করুণের দিকে। যদিও ছয় ইনিংস খেলে ফেললেও ভরসা দিতে ব্যর্থ। লর্ডসেই তাঁকে বসানোর সম্ভাবনা ছিল। তবে অভিজ্ঞতার নিরিখে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁর পরিবর্তে অভিমন্যু ঈশ্বরণ কিংবা সাই সুদর্শনের মধ্যে একজনকে খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল।
লিডসে অভিষেক হয়েছিল সাই সুদর্শনের। যদিও হতাশ করেন। পরের ম্যাচেই বাদ পড়েন। অন্য দিকে, প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাল খেলে যাওয়া অভিমন্যু ঈশ্বরণ রয়ে গিয়েছেন ওয়েটিং লিস্টেই। ভারত এ দলের ক্যাপ্টেন তিনি, সিনিয়র দলে একাধিক সিরিজে স্কোয়াডে রাখা হলেও খেলানো হয়নি একটি ম্যাচও। এবার তাঁকে সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।