আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় এক দশকের দাম্পত্য। তবে খিটমিট, অশান্তি চলছিল বহুদিন ধরেই। পরিস্থিতি বুঝে, চরম পদক্ষেপ স্বামীর। স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে, দুধ দিয়ে স্নান করলেন। ধূপগুড়ির ঘটনায় এলাকায় হইচই।
স্থানীয় সূত্রে তথ্য, প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় কার্তিক সরকার ও সনেকা সরকারের। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। একজনের ১০ বছর ও অপরজনের ৪ বছর বয়স বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বামী কার্তিক সরকারের দাবি স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক পাশের বাড়ির এক যুবকের সঙ্গে। এর আগেও এই নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তবে ফের স্ত্রী ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় বলে খবর স্থানীয় সূত্রে।
ঘটনাটি ধূপগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত গধেয়ারকুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চরচড়া বাড়ি সংলগ্ন এলাকার। রবিবার এই নিয়ে গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে বসে সালিশি সভা। জানা গিয়েছে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে নারাজ। পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত যুবকের কাছেই থাকতে চান বলে সাফ জানান স্ত্রীকে। পরসিথিতি বুঝে, স্বামী স্বেচ্ছায় ওই যুবকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে দুধ দিয়ে স্নান করেন।
এর আগে, জুলাই মাসে ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। ভাইরাল ভিডিওতে মানিক আলি নামের ওই ব্যক্তিকে তাঁর বাড়ির বাইরে একটি প্লাস্টিকের শিটের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর সামনে সাজানো ছিল চারটি দুধভর্তি বালতি। একে একে সেই বালতির দুধ গায়ে ঢেলে নিজে স্নান করে ঘোষণা করেন, ‘আজ থেকে আমি স্বাধীন’। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ও বারবার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেত। সংসারের শান্তির কথা ভেবে আমি কিছু বলতাম না’। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী এর আগেও অন্তত দু’বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দু’জনেই আইনি পথে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। মানিক জানান, ‘শনিবার আমার অ্যাডভোকেট আমাকে জানায়, আমাদের ডিভোর্স ফাইনাল হয়েছে। তাই আজ আমি দুধ দিয়ে স্নান করে আমার নতুন জীবনের সূচনা করছি’।
তারও আগে, জুন মাসে একই ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত রুকুনপুর পঞ্চায়েতের কাছারিপাড়া গ্রাম সাক্ষী ছিল এই ঘটনার। বছর তিন আগে, ২১ জুন কাছারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল শেখ নামে বছর পঁচিশের এক যুবকের সঙ্গে নিকটবর্তী এক গ্রামের মহিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে বিভিন্ন কারণে অশান্তি লেগে থাকতো। আরিফুল ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার পর আমি বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু স্ত্রী বাড়িতে এসে আমার পরিবারের লোকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। বিভিন্ন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমার বাবা-মা এবং আমার সঙ্গে প্রায় নিত্যদিন তার ঝামেলা হত। আমার স্ত্রী তার পরিবারের লোকেদের কথায় বেশিরভাগ সময় চালিত হত।'
