আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র ৩০ বছর বয়সে আচমকা মৃত্যু মহিলা চিকিৎসকের। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। কাঁথি সাব-ডিভিশন হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তমলুক ও কাঁথি মহকুমা জুড়ে। মৃত চিকিৎসকের নাম, শালিনী দাস। তিনি আদতে কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বাড়ি ছিল দমদমে। 

 

গত তিন মাস ধরে তিনি কাঁথি সাব-ডিভিশন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তার আগে প্রায় দুই বছর তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে আনাস্থেসিয়া চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমেও কাজ করতেন ৩০ বছরের শালিনী।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শালিনী দাস তমলুকে একটি ভাড়া বাড়িতে মা-সহ থাকতেন। শুক্রবার সকাল প্রায় সাতটার সময় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। প্রথমে যান মহিষাদলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগী দেখার কাজে। সেখান থেকে তমলুকের আরেকটি বেসরকারি নার্সিংহোমে যান। এরপর সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। 

 

আরও পড়ুন: জ্বলে না আলো, উদযাপন করলেই মৃত্যু নিশ্চিত! দীপাবলিতে অন্ধকারে ডুবে থাকে এই গ্রাম, আসল কারণ জানলে চমকে উঠবেন

 

তাঁর মা জানান, বাড়ি ফেরার সময় শালিনীর হাতে একটি ক্যানুলা (চ্যানেল) বসানো ছিল। অথচ বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এমন কিছুই ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এবং হাতের ক্যানুলা থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তড়িঘড়ি করে পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

 

ঠিক কীভাবে এই মৃত্যু ঘটল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তমলুক থানার পুলিশের তদন্ত। প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃতা চিকিৎসকের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে মহিলা চিকিৎসকের। তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য করা হবে ভিসেরা পরীক্ষা। 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তমলুকে মৃত চিকিৎসক শালিনী দাসের পোস্টমর্টেম ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, পোস্টমর্টেমে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন মহিলা চিকিৎসক। হাইপারটেনশনের ওষুধ চলছিল বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে হাতের চ্যানেলে পুষ করা ওষুধের জেরে মৃত্যু হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবং তার জন্যে করা হবে ভিসেরা পরীক্ষা।ইতিমধ্যেই নমুনা পাঠানো হয়েছে স্টেট ফরেন্সিক ল্যাবে।