আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে সাফল্য পেল পুলিশ! কালীমন্দিরে চুরির ১০ দিনের মাথায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃত দু'জনের নাম পবন বেজ ও উদয় বেজ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এরা দু'জনেই বানাজারা দলের সদস্য। দু'জনের বাড়ি বীরভূমের আমাদপুরে। গত দু'সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ও ভাতারের বেশ কয়েকটি কালীমন্দিরে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, কালীপুজোর রাতে আউশগ্রামের দেয়াশা গ্রামের দাসপাড়ায় একটি কালীমন্দিরের পরপর দু'টি গেটের তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার দেবীর অলঙ্কার চুরি যায়। ওই ঘটনার পরেরদিনেই আউশগ্রামের ব্রজপুর গ্রামে একটি কালীমন্দিরে তালা ভেঙে দেবীর কিছু অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আউশগ্রামের ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার রাতে ভাতারের আমারুন বাজারে শিবমন্দিরে এবং এওড়া গ্রামের নারায়ণমন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। এই দুই এলাকাতেই চুরির আগে এলাকাগুলিতে ঘুরে যেতে দেখা গিয়েছে 'বানজারা' দলকে। তাই পরপর এভাবে মন্দিরে চুরির নেপথ্যে অপরিচিত বানজারা দলই জড়িত বলে সন্দেহ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ভাতারের আমারুন বাজারে 'আমারুন স্টেশন ঐক্যতান পাঠাগার সংঘ' নামে ক্লাবের সর্বজনীন শিবমন্দিরে এই চুরির ঘটনা ঘটে। ক্লাবের কালীপুজোয় প্রতিমার বিসর্জন ছিল। সেই উপলক্ষে খাবারের আয়োজন করা হয়। খাওয়া শেষে রাত বারোটা নাগাদ ক্লাবের সদস্যরা বাড়ি চলে যান। শিবমন্দিরের দরজায় তালা দেওয়া ছিল। মন্দিরের দরজার কড়াগুলি ছাড়িয়ে দিয়ে চোরেরা ভিতরে ঢুকে মহাদেব ও লোকনাথ বাবার সোনার ত্রিনয়ণ সহ রুপোর বেশ কিছু অলঙ্কার চুরি করে। প্রণামী বাক্স ভেঙে নগদ টাকাপয়সা নিয়ে যায়। সব মিলে লক্ষাধিক টাকার চুরি যায়। একই রাতে ভাতারের এওড়াগ গ্রামের মাজিপাড়ায় কাছাকাছি দু'টি মন্দির থেকে একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটে।
মাজি ও ঘোষ পরিবারের নারায়ণমন্দির এবং মাজি পরিবারের রঘুনাথমন্দিরে চুরি হয়। তবে মাজি ও ঘোষ পরিবারের মন্দিরের দরজায় তালা দেওয়া ছিল না। এই মন্দির থেকে তিনটি রুপোর পৈতে চুরি যায়। অন্য মন্দিরটির তালা ভেঙে কিছু সোনা ও রুপোর গয়না চুরি হয়। চুরির আগেরদিন গ্রামে গিয়েছিল বানজারাদের একটি দল। অর্থাৎ কাজ হাসিল করার আগে বানজারা দলের সদস্যরা এলাকায় গিয়ে রেইকি করে যেত।পুলিশের পক্ষ থেকে এই বানজারা দলের ছবি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সর্তক করা হয়।
