নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: বিটাউনে তাঁর তেমন কোনও গডফাদার নেই। তবুও বেশ কয়েক বছরে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শুরুর দিকে বলিউডে তাঁর সফর খুব একটা সহজ ছিল না। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কার্তিক আরিয়ান।

বলিপাড়ার অন্দরে ‘বহিরাগত’ একটি আলোচিত শব্দ। ২০২০ সালের জুন মাসে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ‘নেপোটিজম’ শব্দটি নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল। স্টারকিডরা অনায়াসে যেভাবে সুযোগ পান, বহিরাগতদের ক্ষেত্রে বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এই নিয়ে বলিউডে সেসময় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল। কার্তিক আরিয়ানেরও বলিউডে প্রথম দিনগুলি খুব একটা সহজ ছিল না, সে কথাই জানিয়েছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, “ একজন বহিরাগতর জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ পাওয়া এবং নিজের জায়গা তৈরি করা বেশ কঠিন। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে সুযোগ পাওয়া এবং নিজের কাজের জন্য প্রশংসা আদায় করে নেওয়া মোটেও সহজ হয়। সেই পরিস্থিতি মনের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু আপনাকে লড়াই করে নিজের রাস্তা নিজেকেই করে নিতে হবে।”

সরাসরি নেপোটিসম নিয়ে কথা না বললেও কার্তিকের মন্তব্যে যে সেই ইঙ্গিতই রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। পর্দার ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এর কথায়, “চলচ্চিত্র জগতের বাইরে থেকে কেউ এলে, তাঁকে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে বাইরে থেকে আসাটা যে দুর্বলতা নয়, তা বুঝতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমি পরিশ্রমেই সবটা করে চলেছি।”

২০১১ সালে মুক্তি পেয়েছিল কার্তিকের প্রথম ছবি ‘পেয়ার কা পঞ্চনমা’। কিন্তু সেই ছবি মুক্তির আগে কার্তিকের মনে অনেক ধন্দ ছিল। আসলে সেসময় অভিনেতা টিনসেল টাউনের কাউকেই চিনতেন না। তাই বলিউডে কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর মনে আশঙ্কা ছিল। এমনকী পরিবার ছাড়া তাঁর ছবির শুটিং নিয়ে কাউকেই তিনি বলেননি। ছবির ট্রেলার মুক্তির পরই কার্তিক সকলকে জানিয়েছিলেন। প্রথম ছবির পর পরই যে তিনি আরও সুযোগ পেয়েছিলেন তেমনটা নয়। তবে ধীরে ধীরে বলিপাড়ার প্রথম সারির নায়কদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন কার্তিক আরিয়ান। এরপর ‘ভুলভুলাইয়া ২’ ছবিতে কার্তিককে দেখতে পাবেন দর্শকেরা।