আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও ইউটিউবার-অভিনেত্রী ধনশ্রী বর্মা তাঁদের পাঁচ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টেনেছেন চলতি বছরের শুরুতেই। এবার এক সাক্ষাৎকারে চাহাল খোলাখুলি জানালেন তাঁদের বিচ্ছেদের নেপথ্যের ঘটনা। প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগেছেন ভারতীয় স্পিনার। চাহাল জানান, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই সমস্যা চলছিল, কিন্তু ভবিষ্যৎ কী হবে তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা জনসমক্ষে ‘একসঙ্গে’ থাকার ভান করছিলেন। চাহাল আরও জানান, বিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি, এমনকি অ্যাংজাইটি অ্যাটাক এবং আত্মহত্যার চিন্তাও ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে চাহাল বলেন, “অনেক দিন ধরেই সমস্যা চলছিল, তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে যতক্ষণ না চূড়ান্ত কিছু হচ্ছে, ততক্ষণ বাইরে কিছু জানাব না।” চাহালের দাবি, একদিকে তিনি দেশের হয়ে খেলছিলেন, অন্যদিকে ধনশ্রী-ও নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে পরস্পরকে সময় দিতে পারেননি, আর সেটাই ছিল তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম বড় কারণ। যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, শেষের দিকে তাঁরা কি একসঙ্গে থাকার ‘ভান’ করছিলেন? তখন চাহাল সম্মতিসূচক ভাবে মাথা নাড়েন।
আরও পড়ুন: ৮৫ বছর বয়সে মাধ্যমিকে বসেও ফের অকৃতকার্য! ইনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক স্কুলছাত্র
চাহালের স্বীকারোক্তি, এই কঠিন সময়ে ক্রিকেট থেকে এক মাসের বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। চাহাল বলেন, “আমি বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে ছুটি চেয়েছিলাম, কারণ আমার মাথা কাজ করছিল না। ক্রিকেট আমাকে আনন্দ দেয়, এখনও দেয়। যখন ক্রিকেটেই মনযোগ দিতে পারছিলাম না, তখন বুঝলাম কিছু একটা গোলমাল আছে।”
প্রসঙ্গত, এই সময়েই সমাজমাধ্যমে তাঁকে “চিটার” (প্রতারক) বলা শুরু হয়। চাহাল বলেন, “আমি জীবনে কখনও কাউকে প্রতারণা করিনি। আমি এমন মানুষই না। আমার মতো বিশ্বস্ত মানুষ খুঁজে পাবেন না।” তিনি জানান, তাঁর পরিবার পরিজনেরা সবকিছু জানতেন। তাই জনসমক্ষে কোনও প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি তিনি। তবে বিচ্ছেদের পর তাঁকে স্বাভাবিক মেজাজে দেখে নেটিজেনদের অনেকে কটাক্ষ করেন। তিনি বিচ্ছেদে খুশি, কাঁদছেন না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখের পোস্ট দিচ্ছেন না কেন? এই সব নিয়েও প্রচুর কথা হয়। এই নিয়ে চাহাল বলেন, “বেশ কয়েক মাস আমি ডিপ্রেশনে ছিলাম। অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হত। আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় আসত। এই সময়টায় আমার পরিবার এবং মহভাষ (আরজে মহভাষ, যাঁকে নিয়ে চাহালের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন আছে) পাশে ছিল।”
তিনি জানান, আইপিএলের মরশুম শুরু হওয়ার আগেই তিনি আইনি ভাবে বিচ্ছেদ শেষ করতে চেয়েছিলেন। সেই সময়েই তিনি যে টি-শার্টে ‘বি ইয়র ওন সুগার ড্যাডি’ লিখে ঘুরছিলেন। সেই লেখাটি নিয়েও প্রচুর জল্পনা হয়। চাহালের সাফ কথা, “আমি একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম, আর সেটা দিয়েওছি। কারণ ওদিক থেকে কিছু একটা ঘটেছিল... আমি আগে এটা করতে চাইনি। কিন্তু পরে ভাবলাম, এখন যা ইচ্ছে তাই করব।”
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুজবেন্দ্র ও ধনশ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স ফাইল করেন। বিচ্ছেদের সময় ধনশ্রী ৪.৭৫ কোটি টাকা খোরপোশ হিসেবে পান চাহালের থেকে।