কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে স্পেশাল স্ক্রিনিং হল বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' ছবির। যদিও এদিন দেখা গেল না অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরভ দাসকে। এদিনই আবার এক বিশেষ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দেখা গেল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে। বিশেষ সম্মান পেয়ে দারুণ খুশি অভিনেতা। তবে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর কথা শুনে রেগে আগুন শাশ্বত।
বিশেষ সম্মান পেয়ে শাশ্বত বলেন, "অ্যাওয়ার্ড পেতে সব সময় ভাল লাগে। তবে আমার কাছে দর্শকের ভালবাসা সর্বপ্রথম। যতই অ্যাওয়ার্ড পাই না কেন তা আমার জন্য আনন্দের, অনুভূতিটা একই রকম থাকে।" এই মুহূর্তে টলিউড এবং বলিউড দুই জায়গাতেই অত্যন্ত জনপ্রিয় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই শহরেও পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেতা। তবে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' মুক্তির আগে থেকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে।
তিনি অবশ্য এ বিষয়ে জানান, চরিত্রটি করার আগে ছবির বিষয়ে তাঁকে তেমনভাবে জানানো হয়নি। পরিচালক তাঁকে এই ছবি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলেননি তাই এই ছবির ব্যাপারে সবকিছুই ছিল অজানা। এদিন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হয় শহরে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস,'-এর স্পেশাল স্ক্রিনিং হচ্ছে, তিনি এই বিষয়ে কী বলবেন, প্রথমে খানিকটা গম্ভীর হয়ে শাশ্বত বলেন, "আমি তো এখানে রয়েছি ওখানে নেই।"

এরপর জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে কি আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, নাকি তিনি স্বেচ্ছায় যাননি? এই প্রশ্নের উত্তরে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই ব্যাপারে আমি কিছু জানি না, ওঁরা যে এখানে এসেছে আমি সেটা জানি না, আর কিছু বলতে চাই না।" এই কথা বলে খানিকটা রাগ করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম শুনেই যে রেগে গিয়েছেন অভিনেতা তা এদিন তাঁকে দেখেই বেশ বোঝা গেল।
এদিন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং সৌরভ দাসকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি মুক্তি দেওয়া হয়নি। অতীতে কোনও ছবি করা নিয়ে কখনও আক্ষেপ প্রকাশ করেননি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তবে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এ অভিনয় করা তাঁর জন্য যে ভুল সিদ্ধান্ত তা সরাসরি না বললেও নিজের কথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। এই ছবি নিয়ে বিন্দুমাত্র কথা বলতে চাননি তিনি। তবে তিনি যে এই সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না সে কথা মেনে নেননি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' টিম।
'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' বাংলায় মুক্তি না পাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলার ইতিহাসকে ভুলভাবে দর্শকের সামনে। বিকৃতভাবে তুলে ধরার কারণে মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাতে পারে। এই কারণে এই ছবি বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। তবে বাংলার দু'জন অভিনেতা যখন এই ছবিতে অভিনয় করেন তাঁদের নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়, বিশেষ করে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। যদিও তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন ছবির বিষয়বস্তু তাঁর কাছে ছিল অজানা। অভিনেতার আর শুধুমাত্র নিজেদের চরিত্র নিয়ে জানতে পারেন, তাই নিজের চরিত্র সম্বন্ধে তিনি শুধুমাত্র জানতেন। এরপর সেটাকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে বা ছবির বাকি চরিত্রদের এবং গল্প কীভাবে দেখানো হবে তা তিনি জানতেন না।
