বাংলা ছবি থেকে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ অভিনেত্রী রূপালী ভট্টাচার্য। এক সময় চুটিয়ে মেগা ও বড়পর্দায় কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে বর্তমানে আর সেভাবে দেখা যায় না অভিনেত্রীকে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত থাকার পরেও কেন এমনটা হচ্ছে রূপালীর সঙ্গে? সমাজমাধ্যমে সত্যিটা জানিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিজের একটি পোস্টে।
রূপালী লেখেন, 'আমি একজন পেশাদার অভিনেত্রী। দীর্ঘ ২০ বছর সিনেমা, টেলিফিল্ম বা সিরিয়ালে অভিনয় করে গ্রাসাচ্ছাদন করেছি। তার মানে ধরে নিতে হয় আমি আমার কাজটা জানি।কিন্তু যখনই কাউকে বলি কাজের জন্য, তিনি সব সময় বলেন তোমার মতো চরিত্র থাকলে বলব। এই 'তোমার মত ' চরিত্র বিষয়টা আজও বুঝলাম না। আমি একজন পেশাদার অভিনেত্রী আমার কাজ চরিত্রর মতো হওয়া। আমি ডাক্তার নই যে গাইনো নিয়ে পড়েছি তাই হাড়ের রোগ জানিনা বা ইঞ্জিনিয়ার নই যে সিভিল নিয়ে পড়েছি মেটালার্জিটা বুঝি না। এই তোমার মতো চরিত্র বিষয়টা খুব বোকা বোকা এক্সকিউজ। সময় বদলাচ্ছে, ছুতোগুলো ও বদলালে ভাল হয়।'

কিছুদিন আগে জি বাংলার 'আনন্দী' ধারাবাহিকে ধূসর চরিত্রে তাঁকে দেখেছিলেন দর্শক। যদিও এই চরিত্রের সুযোগ তাঁর কাছে এসেছিল বহু বছর পরে। 'আনন্দী'তে তাঁর চরিত্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যেতেই আর দেখা পাওয়া যায়নি রূপালীর। অনেক সময় মনের মতো চরিত্র না পাওয়ার কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকেন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তবে এখানে কাজ করতে চেয়েও না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রূপালী।
তাঁর পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন টলিউডের অনেকেই। অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র লেখেন, 'এটা তো আমি কাজ চাইলেই সবাই বলে তোর মতো চরিত্র...আমি মানেই শুধু নাকি কমেডিটাই পারি! এখন বলি আপনি চরিত্র দিন আমি আপনার মতো করেই করে দেব।' অভিনেতা দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায় লেখেন, 'সত্যিই! এটা আমি আজও বুঝলাম না...আমি ধরেই নিয়েছি 'আমার মতো চরিত্র' মানে যে চরিত্রে ইনফ্লুয়েন্সার লেভেলের ফলোয়ারস না থাকলেও অভিনয় করা অ্যালাউড।'
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই বিয়ে সেরেছেন রূপালী। এর আগে বিন্দুমাত্র টের পেতে দেননি কাউকে! প্রেমিক অভিনেতা দেবাঙ্ক ভট্টাচার্যর সঙ্গে গোপনে বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী। জি বাংলার 'আনন্দী' ধারাবাহিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে এই অভিনেত্রীকে। তবে তখনও বিয়ের কথা বিন্দুমাত্র টের পেতে দেননি কাউকে। অবশেষে সামাজিক মতে বিয়ে সেরেছিলেন তিনি।
শুধু বিয়ে নয়, প্রেমের কথাও বিন্দুমাত্র টের পেতে দেননি কাউকে। প্রেম বা বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই অভিনেত্রী উত্তর দিতেন, তিনি একাই ভাল আছেন। নিজের মত থাকতে পারেন, জীবনটাকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে এও জানাতেন যে পরে যদি কাউকে ভরসা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিয়ে করবেন। সেই ভরসার হাত খুঁজে পেয়েছেন অভিনেত্রী। তাই পাঁচ কান না করে শুভ কাজটা সেরে ফেলেছেন তিনি। তাঁর বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন খুব কাছের মানুষজনেরা।
