কয়েক সপ্তাহ হল স্টার জলসায় শুরু হয়েছে 'লক্ষ্মী ঝাঁপি'। শুরু থেকেই দর্শকের ভালবাসা পাচ্ছে এই ধারাবাহিক। তবে টিআরপিতে এখনও পর্যন্ত জায়গা করতে পারেনি। এই মেগার মাধ্যমে বহুদিন পর ছোটপর্দায় ফিরেছেন সৌরভ চক্রবর্তী। বিপরীতে শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়। এই খবর প্রথম আজকাল ডট ইন-ই প্রকাশ্যে এনেছিল। গল্পে নায়ক-নায়িকা যেমন থাকবে, তেমন ভিলেনও তো থাকবে! খলনায়িকা ইনকার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী তনয়া চট্টোপাধ্যায়কে। 

 


'লক্ষ্মীঝাঁপি' ধারাবাহিকের প্রোমোতেই দেখা গিয়েছিল বিয়ের কনে ঝাঁপি বিয়ের মণ্ডপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এমন সময় বাড়িতে এসে ব্যাবসার লোকসানের খবর দেওয়া হয় তার বাবাকে। পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে ঝাঁপির বাবার উপর হামলা চালায় পাওনাদারেরা। বাবাকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় ঝাঁপি। কথা দেয় দু'বছরের মধ্যে সবার পাওনা টাকা ফেরত দিয়ে দেবে সে। খালি হয়ে যায় গমগমে বিয়েবাড়ি এই ঘটনার পর। ফাঁকা মণ্ডপে ঝাঁপির পাশে এসে বসে দীপ। জিজ্ঞেস করে এত বর দায়িত্ব যে সে নিল তা কীভাবে পালন করবে? কীভাবে এত টাকা ফেরাবে সে। উত্তরে ঝাঁপি বলে আমি নিজে ব্যাঙ্ক খুলব। নিজের চেষ্টায় প্রাইভেট ব্যাঙ্ক খোলার আভাসই দিয়েছে এই ধারাবাহিকের চরিত্র ঝাঁপি।

 

তবে গল্প এখনও এতটা এগোয়নি। এদিকে গল্পের মোড়ে বিরাট বিপদে পড়ে দীপ ও ঝাঁপি। অচেনা এক গ্রামে এসে পড়ে তারা। তখন ঘটনাচক্রে গ্রামের লোকেরা দীপ ও ঝাঁপিকে বিয়ে দিয়ে দেয় জোর করে। বাধ্য হয়ে ঝাঁপির সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয় দীপ। এরপর তারা দীপের বাড়িতে আসে। কিন্তু বাড়িতে পা দেওয়ার আগেই পাড়ায় জানাজানি হয়ে যায় এই ঘটনা। দীপের মা বধূ বেশে ঝাঁপিকে দেখে চটে লাল হয়ে যায়। বরণ করার নামে, তার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায় সে। 

 


এই ঘটনায় ইনকা দীপের মাকে আরও ইন্ধন জোগায়। কিন্তু প্রতিবাদ করে ওঠে দীপ। সে জানায়, ঝাঁপিকে অপমান করার অধিকার কারওর নেই। সে এই বাড়িতেই থাকবে। কারণ, দীপ তাঁকে বিয়ে করেছে, স্ত্রীর মর্যাদা দেবে বলে। যদিও বাড়ির লোকের সামনে দীপের প্রতিবাদী মূর্তি দেখে আপ্লুত হয় ঝাঁপি।

 

আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে কৌশানীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন অঙ্কুশ! জুটির রোম্যান্সে কতটা মন কাড়ল 'রক্তবীজ ২'-এর গান?

 

কিন্তু এখানেই তাদের মিল হয় না। ফুলশয্যার রাতে ঝাঁপির উপর প্রচণ্ড রেগে যায় দীপ। দীপ চিৎকার করে উঠে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে সে। দীপকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে ঝাঁপিকেই দোষ দিতে থাকে দীপের মা। কিন্তু ঠাম্মি বলে, ওরা লক্ষ্মী-নারায়ণের জুটি। নারায়ণ যতবার বিপদে পড়েছেন, দেবী লক্ষ্মী ততবার তাঁকে রক্ষা করেছেন। তাই দীপকেও ঝাঁপি ঠিক ফিরিয়ে আনতে পারবে। ঠাম্মির কথা শুনে দৌড়ে বেরিয়ে যায় ঝাঁপি। 

 


ঝাঁপি স্কুটি নিয়ে কিছু দূর এগোতেই দেখে দীপকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছেলে। ছেলেগুলো হাতে হকি স্টিক। তড়িঘড়ি দীপকে স্কুটিতে বসিয়ে নিয়ে সেখান থেকে পালায় ঝাঁপি। আশ্রয় নেয় একটা গুদাম ঘরে। যেখানে রাখা ছিল বিভিন্নরকম ফুল। বোঝাই যায়, গুদাম ঘরটি ফুল রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে দীপ-ঝাঁপির ফুলশয্যা বাড়িতে না হলেও গুদাম ঘরেই এক প্রকার নিয়মরক্ষা হল। কেমন হবে দীপ ও ঝাঁপির আগামী জীবন? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।