দর্শকের মনোরঞ্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে বাংলা টেলিভিশন। একের পর ধারাবাহিকের নিত্য নতুন গল্প থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না দর্শক মহল। তাই নতুন গল্প দেখার ইচ্ছাও প্রবল দর্শকের মধ্যে। আজকের যুগে কনটেন্ট ভোগ করার পদ্ধতি যতই বদলাক, জি বাংলা মনে করিয়ে দিয়েছে যে টেলিভিশন এখনও দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী গল্পকার, প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষের কাছে তা পৌঁছয়।
দর্শক এখন প্ল্যাটফর্ম-ফ্লুইড হলেও, জি প্রতিটি পরিবর্তনে দ্রুত সাড়া দিয়ে যাচ্ছে। টিভি, ওটিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া-সব ক্ষেত্রেই এই চ্যানেলের কনটেন্ট, চরিত্র, ফরম্যাট ও গল্প সহজেই প্রবাহিত হচ্ছে। এই ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জি তার নতুন দুটি হাইব্রিড চ্যানেল জি বাংলা সোনার এবং জি পাওয়ার-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করল। জি বাংলা সোনার চ্যানেলটি আসার খবর প্রথম জানিয়েছিল আজকাল ডট ইন। এবার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল।
'জি হোয়াটস নেক্সট' আরও একবার প্রমাণ করল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শকদের কাছে জি-ই বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে পছন্দের বিনোদনের মাধ্যম। যার রয়েছে ১১টি ভাষায় ৫০টি চ্যানেলের সমাহার। জি-র জগৎ গড়ে উঠেছে এমন সব ব্র্যান্ড নিয়ে, যারা সাংস্কৃতিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং দেশের আত্মবিশ্বাসী ও অগ্রসর চিন্তাভাবনাকে প্রতিফলিত করে।

জি-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার কার্তিক মহাদেব বলেন, 'জি হোয়াটস নেক্সট'-এর মাধ্যমে আমরা বিনোদনকে নতুনভাবে ভাবছি-যেখানে সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তি একসূত্রে গাঁথা। এই ব্র্যান্ড ভারতীয় সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হিসেবে আজও অটুট। এই ব্র্যান্ড তার দর্শকের সঙ্গে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে, কিন্তু দর্শকের স্বপ্ন। আবেগ ও বাস্তবতার সঙ্গে সবসময় গভীরভাবে যুক্ত। জি পাওয়ার এবং জি বাংলা সোনার-এর সূচনা এই দর্শনেরই প্রতিফলন- যা আমাদের ভাষাভিত্তিক কর্মক্ষেত্রের শক্তির প্রতি আশ্বাসকে তুলে ধরে এবং আগামী দিনে কনটেন্ট তৈরি করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়।"
জি বাংলা সোনার হল বাংলাভাষী দর্শকদের জন্য নির্মিত প্রথম হাইব্রিড চ্যানেল, যা একত্র করেছে সিরিয়াল, রিয়্যালিটি শো, সিনেমা এবং নতুন ফরম্যাটকে। এই চ্যানেল সাংস্কৃতিকভাবে শিকড়ে প্রোথিত। এই ব্র্যান্ড স্থানীয় গল্প বলার মনোভাবকে তুলে ধরে যা মানুষের সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করে। জি বাংলা সোনার আগস্টে সম্প্রচারিত হবে, এবং কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় একটি বিস্তৃত মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তার সূচনা হবে।
আরও পড়ুন: জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি রাজকুমার রাও-এর বিরুদ্ধে! কোন অভিযোগে আইনি জটে জড়ালেন অভিনেতা?
জি-এর ইস্ট, নর্থ এবং প্রিমিয়াম ক্লাস্টারের চিফ ক্লাস্টার অফিসার সম্রাট ঘোষ বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের টিভির কার্যক্ষেত্র, বিশেষ করে বাংলা জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগে, দ্রুত বিকাশমান। দর্শক এখন নতুন ধাঁচের কনটেন্টের জন্য প্রস্তুত। জি বাংলা সোনার-এর সূচনা কৌশলগতভাবে জি বাংলার পরিপূরক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বিভিন্ন দর্শক গোষ্ঠীর রুচিকে সম্মান জানিয়ে ভিন্নধর্মী কনটেন্ট দেওয়া যায়। আমরা এই চ্যানেলে পুরুষ দর্শকদের কথা ভেবে বিশেষভাবে কনটেন্ট নির্ধারণ করেছি। ফিকশন, নন-ফিকশন ও সিনেমার মাধ্যমে ঐতিহ্যের শিকড়ে প্রোথিত, কিন্তু সার্বজনীনভাবে প্রাসঙ্গিক গল্প বলা হবে-যা নিশ্চিতভাবে একটি আলাদা অভিজ্ঞতা এনে দেবে।"
জি বাংলা সোনার-এর প্রোগ্রামিং লাইনআপে থাকছে তিনটি ফিকশন শো-'বেদিনী জ্যোৎস্নার অমর প্রেম', 'শ্রীমান ভগবান দাস' এবং 'স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম (SIT) - বেঙ্গল'। পাশাপাশি থাকছে চারটি নন-ফিকশন শো '১০ দিনে ১০ লাখ', 'সোনার জলসাঘর', 'আক্কেল গুডুম' এবং একটি সঙ্গীতভিত্তিক ভোরের শো 'সোনার সকাল'। জি বাংলা সোনার-এর রয়েছে দুর্দান্ত সিনেমার সংগ্রহশালা, যেখানে প্রতিদিন সম্প্রচারিত হবে বাংলা চলচ্চিত্র। এছাড়াও, এই চ্যানেল বাংলা ব্লকবাস্টার সিনেমার ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ারের এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দেবে দর্শককে।
জি-এর সাউথ ও ওয়েস্ট ক্লাস্টারের চিফ ক্লাস্টার অফিসার সিজু প্রভাকরণ বলেন, "কর্ণাটকে আমরা শীর্ষে রয়েছি এবং এখানে টিভি দর্শক প্রায় ৯৯% মানুষ। ফলে, জি দর্শকের চাহিদা ও তাদের সংস্কৃতিগত পার্থক্যগুলো খুব ভালভাবে বোঝে। আমরা লক্ষ্য করেছি, আজকের কন্নড় দর্শক আর একরকম নয়-তাদের রুচি ভিন্ন, এবং তাঁরা নতুন গল্পের খোঁজ করছে। এই পরিবর্তনের উত্তর দিতে আমরা তৈরি করেছি ডুয়াল-চ্যানেল স্ট্র্যাটেজি জি কানাডা আমাদের মূল পরিবার-কেন্দ্রিক দর্শকের জন্য থাকবে। আর জি পাওয়ার নিয়ে আসবে
সাহসী এবং আধুনিক গল্প বলার নতুন ধারা। এটি কেবল একটি নতুন চ্যানেল নয়, বরং কর্ণাটকের টেলিভিশন দৃশ্যপটকেই নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রয়াস।”
