আজকাল ওয়েবডেস্ক: মা ছিলেন না বাড়িতে। বারান্দায় বসে আপনমনে খেলাধুলা করছিল এক বছরের শিশুটি। হঠাৎ তার গায়ের উপরে উঠে আসে একটি কোবরা। হাতের উপর বারবার ঘোরাঘুরি করছিল। খেলাধুলার মাঝেই বিরক্ত বোধ করছিল শিশুটি। হঠাৎ সাপের উপরে সমস্ত রাগ উগড়ে দেয়। এক হাতে খপ করে ধরে ফেলে কোবরাটি‌‌। মুহূর্তের মধ্যে কামড়েও দেয়। এক বছরের শিশুর কামড়ে মারা যায় সাপটি! 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেত্তিয়া গ্রাহ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গোবিন্দ নামের শিশুটির মা মতেশ্বরী জঙ্গলে গিয়েছিল কাঠ কুড়োতে। বাড়ির বারান্দায় একা একাই সে খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ একটি কোবরা তার গায়ের উপরে উঠে আসে। খেলার মাঝে বিরক্ত করায়, সাপটিকে শাস্তি দিতে চেয়েছিল। 

 

এরপর ভারী একটা বস্তু দিয়ে প্রথমে কোবরাটিকে আঘাত করে। তারপর কোবরাটি হাতে তুলেই কামড়ে দেয়। এক বছর বয়সি গোবিন্দর কামড়ে কোবরাটি মারা যায়। কিছুক্ষণ পরেই গোবিন্দর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

 

আর পড়ুন: পিছু ছাড়ছে না দুর্যোগ, টানা ভারী বৃষ্টিতে টালমাটাল দক্ষিণবঙ্গ, গভীর নিম্নচাপে আরও ভোগান্তির আশঙ্কা

 

উল্লেখ্য, গত বছর খেলার ছলে একটি সাপকে কামড়ে দুই টুকরো করে দিয়েছিল এক খুদে। ছাদে বসে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। আচমকাই কালো রঙের সাপের বাচ্চা এসে পড়ে তার সামনে। কিন্তু খুদের ধারণা ছিল, সাপটিও বোধহয় কোনও খেলনা। সমস্ত খেলনা ছেড়ে আচমকাই সাপটি ধরে, তারপর কামড়ে দেয়। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বিহারের গয়া জেলায়। 

 

ঘটনাটি ঘটেছিল গয়া জেলায় জামুহার গ্রামে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি যখন ঘটে সেই সময় বাড়ির ছাদে খুদে একাই ছিল। তার মা ছিলেন নীচে। আচমকাই ছাদে উঠে এসে দেখতে পান, খুদের পাশেই সাপের দুই টুকরো দেহ। তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে বাড়ির কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেনন, শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সাপটিকে কামড়ালেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি। সাপটি বিষধর ছিল না। তাই শিশুটি প্রাণে বেঁচে যায়। 

 

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলাতেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পেশায় কৃষক প্রৌঢ়ের নাম, মতবদল যাদব। সাইওহাত গ্রামে চাষবাস করেন ৫৫ বছরের এই প্রৌঢ়। দিন কয়েক আগেই নিজের বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। বিছানায় একাই ছিলেন পরিবারের বাকি সদস্যরা ছিলেন অন্য ঘরে। 

 

ঘুমের মধ্যে মতবদল টের পান, তাঁর হাতের উপর দিয়ে কিছু একটা সরে গেল। হালকা জ্বালাও করছিল হাতে। ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পান, বিছানায় একটি সাপ। সেটিই ঘুমের মধ্যে তাঁকে ছোবল মারে। সাপের সাহস দেখে রেগে আগুন হয়ে যান। ঘরে আলো জ্বেলে, সাপের উপর রাগ উগড়ে দেন। 

 

সাপটিকে এক হাতে ধরেই কামড়ে দেন মতবদল। এরপর জ্যান্ত সাপটিকে চিবিয়ে চিবিয়ে গিলে ফেলেন। মাঝ রাতে তাঁর গলার আওয়াজ পেয়েই পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। এরপর সমস্ত ঘটনা সদস্যদের কাছে ফাঁস করেন তিনি। শুনেই আঁতকে ওঠেন সকলে। তড়িঘড়ি করে মতবদলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

 

বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মতবদল। তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বর্ষায় গ্রামে সাপের উপদ্রব বাড়ে‌। সকলেই কমবেশি নাজেহাল। কিন্তু জ্যান্ত সাপ চিবিয়ে খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম তাঁদের গ্রামে ঘটল। ঘটনায় চমকে গেছেন স্থানীয়রাও।