আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাইরে যখন তীব্র হুড়োহুড়ি। ভিতরে তখন চলছে বিজয়োল্লাস। বিরাটরা হয়ত জানতেও পারলেন না তীব্র হুড়োহুড়ি থেকে পদপিষ্ট হয়ে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও বহু।
চিন্নাস্বামীতে বুধবার বিকেল থেকে ছিল আরসিবির আইপিএল জয়ের অনুষ্ঠান। যানজটের জন্য হুডখোলা বাসে ভিকট্রি প্যারেডের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবুও দুর্ঘটনা আটকানো গেল না।
এ কেমন বিচার! বাইরে যখন স্বজন হারানোর আর্তনাদ। চিন্নাস্বামীর ভিতরে তখন ট্রফি নিয়ে আনন্দ করছেন রজত পতিদাররা।
১৮ বছরে প্রথম আইপিএল ট্রফি জয়। বাড়তি আনন্দ থাকাটাই স্বাভাবিক। মঙ্গলবারই আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর রাস্তায় রাস্তায় সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছিলেন ভক্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের উপর উঠেছিল লাঠিচার্জের অভিযোগ। কিন্তু পরেরদিনই যে এই ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। জয়ের আনন্দ বদলে গেল শোকে।
মঙ্গলবার আইপিএল জেতার পর বুধবার বেঙ্গালুরুতে উৎসবের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আরসিবি কর্তৃপক্ষ। বুধবার বেঙ্গালুরুর চার্ডার্ড বিমান নামার আগে থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। যত সময় গড়ায় তত ভিড় বাড়তে থাকে। বিকালে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ট্রফি নিয়ে উল্লাসের কথা ছিল কোহলিদের। তার অনেক আগে থেকেই চিন্নাস্বামীর বাইরে ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শক।
এটা ঘটনা প্রথমে ঠিক হয়েছিল কর্নাটকের বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত হুডখোলা বাসে বিজয় শোভাযাত্রা করবে আরসিবি। কিন্তু যানজটের জন্য ওই প্যারেডের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বেঙ্গালুরু নেমে বিরাটরা সোজা চলে যান হোটেলে। বিকেল পাঁচটায় চিন্নাস্বামীতে ছিল বিরাটদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের আগেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। স্টেডিয়ামের বাইরে অত্যধিক ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেলেন একাধিক ভক্ত। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গেছে, আহত এক তরুণীকে কোলে নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছুটছে এক পুলিশকর্মী। বাইরে যখন এতকিছু ঘটছে, ভিতরে তখন ভাষণ দিতে ব্যস্ত বিরাট। হল গানবাজনাও।
এটা ঘটনা, কোহলিরা যখন কর্নাটক বিধানসভায় সংবর্ধিত হচ্ছিলেন, সেই সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। খবর পৌঁছতেই সেখান থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। তাই বিরাটরা হয়ত জানতেনও না এতবড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
