আজকাল ওয়েবডেস্ক: উপেক্ষা করার ফল ভুগতে হল এক মহিলাকে! উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের মালিহাবাদ এলাকায় এক ২৫ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর প্রেমিকা এবং কন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠল। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত তাঁর কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্পর্কে সবকিছু দেওয়ার পরেও পাত্তা দিচ্ছিল না প্রেমিকা তাই রাগের বশে এই কাজ করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিকাশ জয়সওয়াল। মৃতার নাম গীতা। তাঁর স্বামী প্রকাশ কনৌজিয়া মুম্বইয়ে কাজ করেন। গীতা এবং প্রকাশের  দুই সন্তান, দীপিকা এবং চার বছর বয়সী দীপাংশু। গত ১৫ জানুয়ারী, গীতা এবং দীপিকা বাড়িতে একা ছিলেন। গীতার পরিবার তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলে, তাঁরা তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে, তারা একটি সিঁড়ি বেয়ে উঠে গীতা এবং দীপিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান।

ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অপরাধস্থল থেকে দু'টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল। গত ১১ মাসে প্রকাশ গীতাকে ১৬০০ বারেরও বেশি ফোন করেছিলেন। গীতার ছেলে দীপাংশু  তাদের বাড়িতে ঘন ঘন প্রকাশের বাড়িতে আসা যাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে জয়সওয়াল স্বীকার করে নেন, কোভিড-১৯ লকডাউনের পর থেকে গীতার স্বামী বাইরে থাকাকালীন গীতার সাথে তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। প্রকাশ জানিয়েছে, তাঁর উপার্জনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গীতার জন্য ব্যয় করেছিলেন। এমনকি তাঁর অনুরোধে কুয়েত থেকে ফিরে এসেছিলেন। তবে, সম্প্রতি গীতা তাঁকে উপেক্ষা করতে শুরু করেন। এর ফলে তাঁর মাথায় রাগ চেপে বসে। সিরবাস্তব জানিয়েছেন, "১৫ জানুয়ারি রাতে গীতার বাড়িতে প্রবেশ করে প্রকাশ। এর পর দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ লাঠি দিয়ে গীতাকে আক্রমণ করেন। ওই সময় দীপিকার ঘমু ভেঙে। তখন তাকেও আক্রমণ করেন। তারপরে রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে দু'জনের গলা কেটে দেন।

খুন করার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান প্রকাশ। তার আগে গীতার বাড়ি থেকে সোনার গয়না এবং টাকা নিয়ে যান। যাতে পুলিশের মনে হয় ডাকাতির ঘটনার ফলে এই খুন। পরের দিন গীতার পরিবার লোকেদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমবেদনাও জানান এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইলের কলরেকর্ড তাঁর সব চেষ্টায় জল ঢেলে দিল।