আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ঘটে গেল এক নারকীয় ঘটনা। নিজের বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে থেকে তারপর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রতিশোধ নিতে ভাসুরের গোপনাঙ্গ কেটে দিল এক মহিলা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত যুবকের নাম উমেশ (২০)। অভিযুক্তের নাম মঞ্জু। জানা গিয়েছে, তিনি সম্পর্কে উমেশের বৌদি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে উমেশের সঙ্গে মঞ্জুর বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবারের আপত্তির কারণে উমেশ শেষ পর্যন্ত অন্যত্র বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সেই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়ে মঞ্জুর বোন, এবং সেই কষ্ট দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দিদি মঞ্জু। প্রতিশোধের তাগিদেই ওই মহিলা এমন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ অক্টোবর রাতে।
অভিযোগ, উমেশ ঘুমিয়ে থাকার সময় মঞ্জু ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে দেয়। হঠাৎ যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠে উমেশ, কিন্তু কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মঞ্জু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উমেশের আর্তনাদ শুনে তাঁর দাদা ছুটে এসে ঘরে ঢোকেন।
তিনি দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে ভাই উমেশ। সঙ্গে সঙ্গে আহত উমেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ত
বে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, উমেশের বৌদি মঞ্জুই এই নৃশংস ঘটনার পেছনে রয়েছে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উমেশের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তার অস্ত্রোপচার চলে।
চিকিৎসকদের অনুমান, পুরোপুরি সেরে উঠতে উমেশের আরও সাত থেকে আট মাস সময় লাগতে পারে। ভয়াবহ এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য,গত আগস্ট মাসেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল এই রাজ্যেই। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ফসনগঞ্জ কাচনা গ্রামে। আহত যুবকের নাম আনসার আহমেদ।
৩৮ বছরের যুবকের যৌনাঙ্গে কোপ বসানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনিন বানোর বিরুদ্ধে। রাগের মাথায় স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে নাজনিনের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, আনসার আহমেদের দুই স্ত্রী রয়েছেন।
প্রথম স্ত্রী সাবেজুল। দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনিন। একটিও সন্তান নেই আনসার আহমেদের। জগদীশপুর থানার পুলিশ আধিকারিক রাঘবেন্দ্র জানিয়েছেন, প্রায়ই দুই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হত আনসারের। সংসারের খুঁটিনাটি দিক নিয়েই মূলত ঝামেলার সূত্রপাত।
সন্তান না থাকায় কখনও কখনও স্ত্রীদের কথা শোনাতেন আনসার। সেই রাতেও নাজনিনের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়েছিল আনসারের। তখনই রাগের মাথায় ধারালো ছুরি নিয়ে আনসারের ওপর হামলা করেন নাজনিন।
হামলার সময় হঠাৎ ছুরি দিয়ে আনসারের পুরুষাঙ্গে কোপ বসান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আনসারকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই তাঁকে রায়বরেলির এইমস-এ ভর্তি করা হয়। সেখানেই ভর্তি রেখে তাঁর চিকিৎসা চালানো হয়।
