আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৫২০ মিলিয়ন আগের সময়কে বলা হয় ক্যামব্রিয়ান যুগ। এই সময় থেকে নতুন ধরণের পরীক্ষা শুরু করে মানুষ। ফলে এই সময় থেকে মানুষ যে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল সেটা এই সময়কার ফসিল থেকে জানা যায়।
 
 তবে সম্প্রতি এমন একটি ফসিল গবেষকদের হাতে এসেছে যা দেখে তারা আকাশ থেকে মাটিতে পড়েছেন। সেখান থেকে তারা দেখেছেন ফসিলটির মাথা প্রায় অক্ষত ছিল। ফলে এই সময়কার বিজ্ঞান যে কতটা উন্নত ছিল সেটা এই ফসিলের ধারা দেখে বোঝা যায়। আসলে এই ব্যবস্থাটি মমির সঙ্গে করা হয়েছিল। তবে এই ফসিল মমি নয়। এটি ছিল একেবারে আলাদা। 
 
 ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করছেন এই ধরণের ফসিল থেকে তারা মনে করছেন সেই সময় চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক বেশি উন্নত ছিল। যে পাথরের ভিতর থেকে এই ফসিল পাওয়া গিয়েছে সেটি ছিল একেবারে আলাদা। সেখান থেকে এই মানুষের মাথা একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেটা না হলে একেবারে এই ফসিলের মাথা অবিকৃত রয়েছে।
 
 এই সময়কার ফসিল থেকে সেই সময়কার প্রাণীদের সম্পর্কেও একটি ধারণা স্পষ্ট হয়েছে। অতি সাবধানে ফসিলটিকে রাখা হয়েছিল নাকি এটি নিজে থেকেই এমনভাবে ছিল তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন গবেষকরা। মনে করা হচ্ছে মানুষের মাথার ভিতরে এমন কিছু কীট ভরে দেওয়া হয়েছিল যেগুলি বহু বছর ধরে জীবিত ছিল। তারাই মানুষের মাথাকে এতগুলি বছর ধরে সঠিক রেখেছে।
 
 আসলে চিকিৎসাবিজ্ঞান এমন একটি বিষয় যেখানে বহু রহস্য আজও সামনে আসেনি। যেভাবে এই ফলিসটিকে রক্ষা করা হয়েছিল তাতে এই ফসিলটি নিয়ে বহু চিন্তাভাবনার দরকার আছে। যদি এতগুলি বছর ধরে একে অবিকৃত রাখা হয় তাহলে সেই সময়কার চিকিৎসা ক্ষেত্র কতটা উন্নত ছিল সেটাই এখন চরম রহস্যের। এটাই এখন গবেষকদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেটাই তারা বেরে করবেন। 
