আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে অবাক করা একটি তথ্য সেখানে দেখা গিয়েছে এক ফোঁটা রক্ত থেকে করা যেতে পারে ডিএনএ টেস্ট। এখানেই শেষ নয়, সেই টেস্ট থেকে অতি সহজেই জানা যাবে আপনার সঠিক বয়স।
জেরুজালেমের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবিষয়ে একটি পরীক্ষা করেছে। সেখান থেকে তারা বলেছেন নতুন ধরণের ডিএনএ পরীক্ষা করতে চাইছেন তারা। সেখানে দরকার হবে মাত্র এক ফোঁটা রক্তের নমুনা। ব্যাস, সেখান থেকেই তারা অতি সহজেই জানতে পেরে যাবেন সেই ব্যক্তির বয়স কত।
গবেষকরা মনে করছে মানুষের বয়সের সঙ্গে তাল রেখে তাদের ডিএনএ পরিবর্তন হতে থাকে। এটি ঠিক যেন সময়ের ঘড়ি। এটি প্রতিটি সময় বলে দিতে পারে আপনার সঠিক বয়স কত। যেভাবে মানুষের ডিএনএ তৈরি হয়ে থাকে সেখান থেকে অতি সহজেই এই কাজটি করা যেতে পারে।
কোনও ব্যক্তি যদি হারিয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে সেখান থেকে তার ডিএনএ পরীক্ষা থেকে বলে দেওয়া যাবে কীভাবে সেই মানুষটির এমন পরিস্থিতি তৈরি হল। অনেকে চাকরির ক্ষেত্রে নিজেদের বয়স কমিয়ে রাখেন। সেখানেও এই টেস্ট করালে সেখান থেকে অতি সহজেই জানতে পারা যাবে তার সঠিক বয়সের হিসেব।

গবেষকরা মোট ৫০ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করেছেন। তারা এই পরীক্ষা করেছেন তাদের রক্তের নমুনা দিয়ে। সেখান থেকেই তাদের ডিএনএ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যের হিসেব তারা পেয়ে গিয়েছেন। এখানে তারা জানিয়েছেন বয়স যত বেশি হবে ততই তারা অতি সহজে এই পরীক্ষা করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা এবার মানুষের কৃত্রিম ডিএনএ তৈরি করার দিকে জোর দিয়েছেন। এই কাজে বিশ্বের সবথেকে বড় মেডিক্যাল চ্যারিটি বিনিয়োগ করেছে। এই কাজে আপাতত বিনিয়োগ করা হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। এখানে কাজ করছে অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ কলেজের বিজ্ঞানীরা।
মানুষের সবথেকে বড় হাতিয়ার হল ডিএনএ। একে সঙ্গে করে নিয়ে মানুষ আগামীন দিকে এগিয়ে যায়। এটি থেকে প্রতিটি মানুষ নিজের পরিচয় বহন করে থাকে। তবে এবার সেই ডিএনএ-কে তৈরি করার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাহলে এবার কী হারিয়ে যাবে মানুষের বংশ পরিচয়।

চিকিৎসক জুলিয়ান সালে জানিয়েছেন, আকাশের উচ্চতায় উঠতে হবে। মানুষের জীবনে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হবে। ফলে সেখান থেকে নতুন করে সমস্ত তৈরি করতে হবে। যদি কৃত্রিমভাবে ডিএনএ তৈরি করা যায় তাহলে সেখান থেকে নতুন দিগন্ত সামনে উঠে আসবে।
আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী হবে ভারতীয় বিমানবাহিনী, ফ্রান্সের সঙ্গে কোন চুক্তি করেছে ভারত
তবে এই কাজটি শেষ হয়ে গেলে মানুষ নিজেকে ভগবান ভাবতে পারেন এমন কথা বিভিন্ন মহলে উঠে এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই কাজটি শুধু একটি পরীক্ষা মাত্র। তার থেকে বেশি কিছুই নয়। তাই এখনই এটি নিয়ে এত চিন্তা করার কিছুই নেই।
তবে এই খবরটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নানা দিক থেকে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই লিখেছেন যে ডিএনএ মানুষের প্রধান শক্তি। যাকে সামনে করে মানুষের বংশ এগিয়ে যায় তাকে কেন এভাবে ব্যবহার করা হবে। এরপর যদি ভবিষ্যতে পরীক্ষাগারে মানুষ তৈরি করা হয় তাহলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে যাবে। এই কাজে প্রচুর টাকা খরচ করা হতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন যেভাবে এই প্রকল্পটি নিয়ে সকলের আগ্রহ তুঙ্গে উঠেছে তাতে তারা এর শেষ দেখে তবে ছাড়বেন।
