আজকাল ওয়েবডেস্ক: জলের নিচে ৪০০ বছর ধরে আরামে বেঁচে রয়েছে এই গ্রিণল্যান্ড শার্ক। এর দীর্ঘ আয়ুর অন্যতম কারণ দেহে কোনও ক্যান্সারের জীবানু নেই। তবে কেন এই পরিস্থিতি।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন গ্রিণল্যান্ড শার্ক বা হাঙরের ডিএনএ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে এর দেহে ক্যান্সার তৈরি হতে পারে না। দেহে ক্যান্সার তৈরি করার যে জীবানু বা ভাইরাস থাকে সেটিকে অতি দ্রুত নিজে থেকেই নষ্ট করে দিয়েছে এই ডিএনএ।
বহু বছর ধরে শীতের পরিবেশে বাস করছে গ্রিণল্যান্ড শার্ক। এটির ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি। আকারে প্রায় ২০ ফুট। এর বয়স ৪০০ বছর। তবে এদের দেহে যে ডিএনএ রয়েছে সেটি ক্যান্সারকে রোধ করতে সাহায্য করে। সাধারণভাবে হাঙর প্রজাতির মধ্যে এতবছর ধরে বেঁচে থাকার খবর মেলে না। তবে এই শার্ক সকলকে অবাক করে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যদি এই শার্কের ডিএনএ-কে পরীক্ষা করে সেইমতো ওষুধ তৈরি করা যায় তাহলে সেটি মানুষের দেহের পক্ষেও উপকারী হতে পারে। সেদিক থেকে যদি এই ওষুধের আবিষ্কার হয়ে যায় তাহলে সকল মানবজাতি ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবে। অন্যদিকে ডিএনএ নিয়ে আলাদা করে পরীক্ষা করবেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন যদি এই ডিএনএ-র শক্তি জানা যায় তাহলে ভবিষ্যতে শুধু ক্যান্সার নয়, বহু কঠিন রোগের চিকিৎসা করা অতি সহজ হবে। সেখানে নতুন দিক সামনে চলে আসবে।
তবে আরেকদল বিজ্ঞানী মনে করছেন বহু বছর ধরে শীতল জলে বাস করার ফলে দেহের ডিএনএ নতুন করে বিবর্তিত হয়েছে। সেখান থেকে এই ক্যান্সার মুক্তির শক্তি এই হাঙরের দেহে তৈরি হয়েছে। হাঙর নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারাও এবিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, যদি হাঙরের মতো ঘাতকের দেহে এই ধরণের ডিএনএ থাকতে পারে তাহলে সেই ডিএনএ নিয়ে পরীক্ষা করাই উচিত।এবার এই কাজই করে চলবে বিজ্ঞানীরা।
