আজকাল ওয়েবডেস্ক: টার্মিনেটর ছবিটির কথা মনে রয়েছে। সেখানে মাথায় বসানো ছিল চিপ। তার জেরে কন্ট্রোল করা যেত রোবোটকে। সেটা তো ছিল সিনেমার কথা। তবে বাস্তবে এবার মানুষের মাথায় বসল চিপ। সেই চিপ থেকে একজন পঙ্গু মানুষ ফিরলেন তার স্বাভাবিক জীবনে।
২২ বছরের তরুণ নোল্যান্ড আকবাক। ২০১৬ সালে একটি সামার ক্যাম্পে গিয়েছিল। সেখানে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিল সে। তবে সুইমিং পুলের জলে সাঁতার কাটার সময় তার ব্রেন হেমারেজ হয়। ফলে সেই সময় থেকেই সে পঙ্গুত্বের শিকার হয়। তার চিকিৎসা নিয়ে সব আশা ছেড়ে দেয় তার পরিবার।
তবে এরপরই তার পাশে এসে দাঁড়ায় বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। নোল্যান্ডের অনুমতি নিয়ে মাস্ক তার মাথায় একটি ইলেকট্রনিক চিপ বসিয়ে দেয়। এরপর থেকেই তার জীবনে এল বড় বদল। শুধুমাত্র চিন্তাশক্তি দিয়েই সে এখন সমস্ত কাজ করতে পারে। নিজের মাথায় বসানো চিপকে চিন্তাশক্তি দিয়ে সে মাস্কের প্রতিষ্ঠানেই কাজ করে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিল, নোল্যান্ডের এমন পঙ্গুত্ব হয়েছে যেখান থেকে সে জীবনে কোনও কাজ করতে পারবে না। তবে এখানেই অসাধ্য সাধন করেছেন টেলসা কর্তা। এখন এই তরুণ যা চিন্তা করে সেইমতো কাজ করে তার চিপ। সেখান থেকেই মাস্কের প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করে সে। বিজ্ঞানকে যদি মানুষের সঠিক কাজে লাগানো যায় তার উদাহরণ হল এই ঘটনা।
এই তরুণ এখন মাস্কের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পাশাপাশি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে। যে জীবনে হতাশার অন্ধকার এসেছিল সেখানে এখন আলোর ছটা। তার মেধা দেখে অবাক হয়েছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। একটি ইলেকট্রিক হুইল চেয়ারে বসে থাকে এই তরুণ। সেখান থেকে ই নিজের সমস্ত কাজকে পরিচালনা করে সে। সেখানেও দারুণভাবে কাজ করে তার মাথায় বসানো চিপ। মাস্ক নিজে জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা এই চিপের কাজ। এর থেকে জীবন অনেক বেশি সহজ হয়েছে।
