আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনের বুক থেকে পাওয়া গেল ৭১০০ বছরের কঙ্কাল। তার ডিএনএ বিশ্লেষণ করা পর রীতিমতো অবাক হলে বিজ্ঞানীরা। যে বিশেষ গুন সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে তাকে সহজে ব্যাখা করা যায় না।
 
 যে ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে তাকে ভূতের বংশধর হিসেবে মনে করা হয়েছে। বিষয়টি একটু অন্যরকম বলে মনে করা হলেও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। এটি একটি এমন বংশধারা যা বিবর্তনের ইতিহাসে কোনও জীবাশ্ম বা জীবন্ত প্রমাণ ছাড়াই রয়ে গিয়েছে। তবে এর সঙ্গে জিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে।
 
 বিজ্ঞানীরা যখন বিবর্তনের গাছ তৈরি করেন তখন সেখানে তারা বিভিন্ন প্রজাতির সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি করেন। তবে সেই গাছে বেশ কয়েকটি ফাঁক থাকে যেগুলি সহজে ভরাট করা যায় না। এদের আগের পুরুষের কাছ থেকে কোনও সঠিক তথ্য সামনে আসে না। এরা হঠাৎ করে সামনে এসে ফের হঠাৎ করে হারিয়ে যায়।
 
 এই বংশধরদের ভূত বলে ডাকা হয় তার কারণ হল এদের কোনও জীবন্ত প্রমাণ নেই। তবে এদের জিনগত অস্তিত্ব থাকে। প্রধানত মাছেদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। তবে এটি মানুষের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় না। আফ্রিকাতে এর আগে এই ধরণের বংশধর দেখা যায়। তবে চিনের বাজারে এবার ধরা পড়েছে এই ভূতেরা। মনে করা হচ্ছে এরা মানবজাতির একটি হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত শাখা ছিল।
 
 চিনের মাটি থেকে কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে তা থেকে প্রমাণিত এই ভূতেদের বংশধররা ছিল। এদের যে প্রমাণ মিলেছে সেটি এই কঙ্কালের ডিএনএ থেকে পাওয়া যায়। মনে করা হচ্ছে তিব্বতের মাটি থেকে পাওয়া এই কঙ্কালের ডিএনএ থেকে আগামীদিনে অনেক কিছু জানা যাবে। যেভাবে এরা হারিয়ে গেল তার সঙ্গে অন্য মানুষদের কেন কোনও সম্পর্ক থাকল না সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এর উত্তর হাতে আসা সহজ বলে মনে করছেন না বিজ্ঞানীরা।
