আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহিত জীবনে পরকীয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাধারণত এমন সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্বামী বা স্ত্রীর অন্য লিঙ্গের কারও সঙ্গে। কিন্তু সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে, যা শুনে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। এক বিবাহিত মালয়েশীয় পুরুষ স্বীকার করেছেন, তিনি পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন নিজের শ্বশুরের সঙ্গে!
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ফেসবুকের জনপ্রিয় পেজ Kisah Rumah Tangga-তে করা এক গোপন পোস্টের মাধ্যমে, যা পরে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষত Reddit-এ। এখন যদিও মূল পোস্টটি মুছে ফেলা হয়েছে, তার স্ক্রিনশট এবং বিবরণ অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ব্যক্তির বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রী সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং প্রসব-পরবর্তী বিশ্রামের জন্য বাবা-মায়ের বাড়িতে ছিলেন। এই সময় তিনি স্ত্রী-শ্বশুরবাড়ির মধ্যে আসা-যাওয়া করতেন। একদিন শ্বশুর তাঁকে অনুরোধ করেন, নতুন ভাড়াটিয়া আসার আগে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে।
তিনি বলেন, পরিষ্কার করার সময় ঘামতে শুরু করায় জামা খুলে ফেলেন। তখনই শ্বশুর তাঁর শরীরের দিকে তাকিয়ে ‘আগ্রহ’ দেখাতে শুরু করেন। এরপরই ঘটতে থাকে অনৈতিক সম্পর্কের সূচনা। ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তাঁর শ্বশুরই প্রথমে শারীরিক স্পর্শ শুরু করেন, এবং পরে তাঁরা তিনবার এমন সম্পর্কে লিপ্ত হন।
নিজের পোস্টে তিনি আরও লেখেন, শ্বশুর তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিয়েছিলেন কিভাবে এসব করতে হয়, এবং প্রথমে ভয় পেলেও পরে তিনি এতে একধরনের আনন্দ অনুভব করেন। কিন্তু অপরাধবোধ ও লজ্জায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, নিজের পুরুষ শ্বশুরের সঙ্গে এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে তিনি দ্বিধায় ভুগছেন—তাঁকে এখন সমাজ কি LGBTQ সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে দেখবে কি না।
ওই পুরুষ জানিয়েছেন, তিনি এই ‘চক্র’ থেকে বেরিয়ে আসতে চান। পোস্টে তিনি সাহায্যের আবেদন করেছেন—কীভাবে এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে নিজেকে মুক্ত করবেন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই ঘটনাটিকে ‘নৈতিক অবক্ষয়’-এর নিদর্শন হিসেবে দেখছেন, কেউবা আবার বলছেন এটি এক ধরনের মানসিক বিভ্রান্তির ফল। মালয়েশিয়ার নেটিজেনদের একাংশ আবার এই পোস্টের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ Kisah Rumah Tangga প্রায়ই গোপন ও যাচাইহীন গল্প প্রকাশ করে থাকে।
তবে সত্য যাই হোক না কেন, এই ঘটনা সমাজে আলোচনার ঝড় তুলেছে—বিবাহ, যৌনতা ও পারিবারিক সম্পর্কের নৈতিক সীমারেখা নিয়ে।
