আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোমান সভ্যতার সঙ্গে আগ্নেয়গিরির সম্পর্ক বহু বছরের। এবার সেই বিষয় নিয়েই অবাক করা তথ্য সামনে নিয়ে এলেন গবেষকরা। মাউন্ট ভিসুভিয়াস এমন একটি আগ্নেয়গিরি যেখান থেকে প্রচুর লাভা বের হত। তবে সেই সময়ের মানুষের ব্রেনে সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল এই লাভা।
 
 রোমার শহরের এমন একজন মানুষের দেহ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা যেটি ৭৯ অ্যানো ডমিনি সময়কালের। সেই সময় মাউন্ট ভিসুভিয়াস ঘন ঘন নিজের লাভা বের করত। সেই লাভা সরাসরি গিয়েছে মানুষের ব্রেনে। তার কান থেকে সেই লাভা চলে গিয়েছিল তার ব্রেনে। এরপর তার ব্রেন একটি কাঁচে পরিণত হয়েছিল। 
 
 গবেষকদের কাছে প্রধান রহস্য ছিল কেন মানুষের ব্রেন কাঁচে পরিণত হয়েছিল। এর কোনও সঠিক উত্তর তাদের হাতে আসেনি। তবে অনুমান করা হয়েছে যে লাভার তাপমাত্রা ছিল ৫১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার লাভা তার দেহকে পুড়িয়ে খাক করে দেওয়ার আগে কান দিয়ে এই তাপমাত্রা তার ব্রেনে প্রবেশ করেছিল। এবং চোখের পলকে সেই ব্যক্তির মাথাটি একটি কাঁচে পরিণত হয়েছিল।
 
 ইটালির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে উষ্ণতায় ওই ব্যক্তির মাথায় লাভা প্রবেশ করেছিল সেখানে ব্রেনের ভিতরে যে বিভিন্ন অংশ ছিল সেগুলি দ্রুত কাঁচে পরিণত হয়ে যেতে পারে। সেটাই এখানে হয়েছে। তবে বড় প্রশ্ন হল এই তাপমাত্রা কান দিয়ে কীভাবে মাথায় প্রবেশ করেছিল। নাকি লাভাকে কেউ জোর করে শাস্তির কোপ হিসাবে সেই ব্যক্তির কানে ঢেলে দিয়েছিল সেটা এখনই জানা যায়নি। 
 
 যদিও ১৮ শতকে ঘটা এই আগ্নেয়গিরির লাভার ফলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। সেখানে বাকিদের দেহ যেখানে ধুলো হয়ে গিয়েছে সেখানে কীভাবে এই ব্যক্তির শুধু মাথাটি কাঁচে পরিণত হল সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিরাট ধোঁয়াশা। 
 
 ১৯৬০ সালে কলেজ অফ অগাস্টেস থেকে এই ব্যক্তির মাথাটি পাওয়া গিয়েছে। সেখানে মাটির নিচ থেকে এই কাঁচের মাথাটি মিলেছে। এরপর থেকেই এই মাথাটি নিয়ে চলছে টানা গবেষণা। কীভাবে মানুষের মাথাটি কাঁচে পরিণত হল সেটি একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। 
