আজকাল ওয়েবডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার হাজার হাজার স্কুলছাত্রী। অধিকাংশই নাবালিকা। স্কুলের বাইরে থেকে তাদের নানাধরনের টোপ দিয়ে অপহরণ করা হত। তারপর পাঁচ থেকে ছ'জন মিলে গণধর্ষণ করত। যে যৌন নির্যাতনের বর্ণনা জানলে আজও চোখে জল ধরে রাখতে পারেন না সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৩ বছর বয়সি এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে সরব হন ইলন মাস্ক। ব্রিটেনে কয়েক দশক ধরেই ত্রাসের কারণ 'গ্রুমিং গ্যাং'। সেই সংগঠনের সদস্যরাই গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, মোট পাঁচজন মিলে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছিল। মুখে বল ঢুকিয়ে, কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়েছিল। যাতে চিৎকারের শব্দ শোনা না যায়। মলদ্বারে পাইপ ঢুকিয়ে নির্যাতন করত তারা। ২০১৯ সালে তিনজন গ্রেপ্তার হয়। অন্ততপক্ষে ৩০বার ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।
কয়েক দশক ধরেই 'গ্রুমিং গ্যাং'-এর একের পর এক কাহিনি প্রকাশ্যে এলেও উল্লেখযোগ্য কড়া পদক্ষেপ করেনি ব্রিটেন প্রশাসন। এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মারের পদত্যাগের দাবিতে সরব ইলন মাস্কও। জানা গেছে, দেড় হাজার স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়েছে। তবে আসল সংখ্যাটা ৪০ হাজারের বেশি বলে দাবি সাধারণ মানুষের।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনাগুলি মূলত ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ঘটেছিল। ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার কাউন্টির হাডারসফিল্ড, রদারহ্যাম এবং ওল্ডহ্যাম শহরে স্কুলের বাইরে থেকে ছাত্রীদের অপহরণ করা হত। 'গ্রুমিং গ্যাং' নামের এক অপরাধ চক্রের ৯০ শতাংশেরও বেশি সদস্য পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত।
