হৃদরোগ এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। অল্প বয়সেই আর্টারি বা ধমনীতে ব্লকেজ ধরা পড়ছে। তাই চিকিৎসকরা বার বার হৃদযন্ত্রের যত্ন নিতে সতর্ক করছেন। কিন্তু ব্যস্ততার জীবনে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই কিছু সহজ উপায়ে হার্ট ব্লকেজ হচ্ছে কিনা বুঝতে পারেন। সম্প্রতি এক মার্কিন কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ড. জেরেমি লন্ডন জানিয়েছেন, আপনার হার্ট ব্লকেজ আছে কিনা তা জটিল এক্স-রে, ইসিজি বা রক্তপরীক্ষা ছাড়া ঘরে বসেই বোঝা সম্ভব।
ড. লন্ডনের কথায়, “হার্টের সামনের ধমনীতে ব্লক থাকলে পরিশ্রমের সময় শরীরের অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। তখন রক্তপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হলে বুকে টান, চাপ বা ব্যথা অনুভূত হয়। বিশ্রাম নিলেই ব্যথা কমে যায়-এই পার্থক্যই আসল সংকেত।”
আরও পড়ুনঃ সাবধান! প্রোটিন শেকে লুকিয়ে ক্যানসারের ফাঁদ! গবেষণায় উঠে এল ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা
বিশেষজ্ঞের মতে, হাঁটা, সিঁড়ি ওঠা, ভারী কাজ করা কিংবা দ্রুত দৌড়নোর সময় যদি বুকের মাঝখানে টেনে ধরা অনুভব করেন, সেটি হালকাভাবে নেবেন না। অনেক সময় ব্যথা কাঁধ, বাহু, গলা বা চোয়াল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার কারওর ক্ষেত্রে শ্বাস নিতে কষ্ট বা মাথা ঘুরতে পারে। এই সবই হতে পারে হার্ট ব্লকেজের আগাম সতর্কবার্তা।

ড. লন্ডন আরও বলেন, “এই পরীক্ষা আসলে নিজের শরীরকে বোঝার এক পদ্ধতি। তবে এর মানে এই নয় যে কোনও উপসর্গ না থাকলে আপনি একদম সুস্থ। অনেকের ক্ষেত্রে ব্লকেজ নীরবেও বাড়তে থাকে, যা পরে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়।”
চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই লক্ষণগুলির যে কোনওটি থাকলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করানো উচিত। রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ত্যাগ এবং নিয়মিত ব্যায়াম-এই কয়েকটি অভ্যাস হার্টের সুরক্ষায় সবচেয়ে জরুরি। বিশেষ করে যাঁরা সারাদিন মানসিক চাপে কাজ করেন, বিশ্রামের সময় পান না, তাঁদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। কাজের ফাঁকে অল্প সময়ের বিশ্রাম, পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধক।
