টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমাগরম খবর কী?


অমিতাভের জীবনদর্শন

অমিতাভ বচ্চন শনিবার রাতে নিজের ব্লগে একটি বার্তা লিখে অনুরাগীদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন। সময়, পরিবর্তন এবং মানুষের মনোভাবের রূপান্তর নিয়ে তাঁর গভীর ভাবনা প্রকাশ পায় সেই লেখায়।

অমিতাভ লিখেছেন, ‘সময় বদলায়, পৃথিবী বদলায়... অভ্যাস, মনোভাব, সংস্কৃতি বদলায়... মানুষও বদলায়। যারা তখন ছিল, তারা এখন আর নেই... আর যারা এখন আছে, তারাও একদিন ‘তখন’-এর অংশ হয়ে যাবে।’
এই কয়েকটি লাইনের মধ্যেই মেগাস্টারের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। তিনি মনে করেন, সময়ের স্রোতে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, আর সেটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই জীবনের অংশ।

এরপর ব্লগে বিগ বি লেখেন, ‘‘তখন’-এর স্মৃতিগুলো আজও প্রতিধ্বনিত হয়, কিন্তু সেগুলো নিয়ে বিলাপ করার কোনও মানে নেই। সেগুলো স্মৃতি হিসাবেই থাকুক— কারণ অনুশোচনা কেবল মানসিক শক্তির অপচয়। অতীতকে শ্রদ্ধা করুন, উপভোগ করুন। কারণ তখন সেগুলো সত্যিই আনন্দদায়ক ছিল।’
অমিতাভের এই বার্তায় যেন জীবনের প্রতি তাঁর সহজ, কিন্তু গভীর দৃষ্টিভঙ্গির ছাপ স্পষ্ট। তিনি সময়ের গতিকে থামাতে চান না, বরং তা গ্রহণ করে শেখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

নিজের লেখার শেষে অভিনেতা স্মরণ করেন বাবা, প্রখ্যাত কবি হরিবংশ রায় বচ্চন-এর কথা। তিনি জানান, বাবার লেখা কিছু লাইন আজও তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগায়।

অমিতাভ লিখেছেন, ‘বহু বছর আগে লেখা হলেও, তাঁর কবিতাগুলো আজও হৃদয়ে অনুরণিত হয়। এটাই এক মহান কবির দৃষ্টি এবং গভীরতার পরিচয়। পুরনোরা পুরনো বলুন, নতুনদের কথা শুনুন... নতুনরা নতুন বলুন, পুরনোদের কথা শুনুন।’
অমিতাভের এই দার্শনিক পোস্টে নেটিজেনদের মধ্যে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কেউ আবার বলেছেন, বিগ বি সব সময়ই জীবনের গভীরতম সত্যকে সহজভাবে প্রকাশ করেন।

জাহ্নবীর স্বীকারোক্তি

জাহ্নবী কাপুর সম্প্রতি খোলামেলা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নারী হিসাবে কাজ করতে গিয়ে তাঁকে প্রায়ই পুরুষ সহকর্মীদের ‘ইগো’ হয়। সম্প্রতি টুইঙ্কল খান্না ও কাজলের সঞ্চালিত টক শো ‘টু মাচ উইথ টুইঙ্কল অ্যান্ড কাজল’এর নতুন পর্বে উপস্থিত হয়ে তিনি এই অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।

জাহ্নবী জানান, ছবির জগতে কাজ করার সময় তিনি বহুবার এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন, যেখানে নিজের প্রকৃত ক্ষমতা বা বুদ্ধিমত্তা লুকিয়ে রাখতে হয়েছে শুধুমাত্র কাউকে বিরক্ত না করার জন্য। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি জানি, আমি এক সুবিধাপ্রাপ্ত পরিবেশ থেকে আসছি। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পুরুষদের ইগো সামলানো। কোনও বিষয়ে যদি আমার মতামত থাকে, এখন আমি অনেক বেশি স্বচ্ছন্দভাবে তা বলতে পারি। কিন্তু এমন অনেক সময় এসেছে, যখন আমাকে ‘বোকা’ সাজতে হয়েছে।  অনেক সময় পরিস্থিতি বুঝে লড়াই বেছে নিতে হয় — কীভাবে নিজের মতটা প্রকাশ করলে কেউ বিরক্ত হবেন না, সেটাই শেখার বিষয়।”

শো চলাকালীন টুইঙ্কল এবং কাজল তাঁকে প্রশ্ন করেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গিয়ে কোন বিষয়টি তাঁর কাছে সবচেয়ে কঠিন লেগেছে। জবাবে জাহ্নবী বলেন,
“আমি অনেক সময় এমন ভান করেছি যেন আমি আসলে খুব একটা কিছু জানি না, বা ততটা সপ্রতিভ নই। শুধু এই জন্য যে, আমার উপস্থিতি বা মতামত কাউকে অস্বস্তিতে না ফেলে। তবে সময়ের সঙ্গে শিখেছি, নিজের অবস্থান বোঝা আর নিজের মত সঠিকভাবে প্রকাশ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

এলির সংগ্রাম

সলমন খান সঞ্চালিত ‘বিগ বস ৭’-এ অংশ নেওয়ার পর রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান বলিউড অভিনেত্রী এলি আভরাম। তবে এই খ্যাতির সঙ্গে শুরু হয়েছিল তাঁর জীবনের এক নতুন সংগ্রামও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এলি জানিয়েছেন, ‘বিগ বস’এ অংশ নেওয়ার পর বলিউডে নিজেকে একজন ‘প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁকে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে এলি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, এই শো আমার যাত্রার একটা অংশ হবে। কিন্তু বুঝতে পারিনি যে, এর পর আমাকে নির্মাতা এবং প্রযোজকদের কাছে বারবার প্রমাণ করতে হবে যে আমি এখানে শুধু নাম বা অর্থের জন্য আসিনি। আমি একজন সিরিয়াস অভিনেত্রী, সেটাই বোঝাতে আমার অনেক সময় লেগেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমার উদ্দেশ্য কখনওই খ্যাতি বা টাকার পিছনে দৌড়নো ছিল না। আমি সবসময়ই অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে চেয়েছি, এবং সেটা যেন মানুষ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন — এই চেষ্টাই করে গিয়েছি।”