আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'অপারেশন লায়ন' থেকে সূচনা। তেল আভিভ আর তেহরান, একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। আরও তীব্র হচ্ছে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত। দুই দেশ একে অপরের উপর হামলা চালাচ্ছে। মুহুর্মুহু সাইরেন, বিস্ফোরণে বিধ্বস্থ জীবন। দুই দেশ ক্ষতির খতিয়ান তুলে ধরছে বিশ্বের সামনে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বড় প্রভাব ফেলবে বিশ্বেও! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? কোন কোন বিষয়ে পড়তে পারে বড় প্রভাব?
তেলের দাম- শুক্রবার সকাল থেকে ইরানের পরমাণু এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইজরায়েল। আর তারপর থেকেই বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। ব্রেন্ট ক্রুড ও নিউ ইয়র্কের লাইট সুইট তেলের দাম ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায় শুক্রবার।
ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ৬ ডলারেরও বেশি বেড়ে পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ ৭৮ ডলার ব্যারেল অতিক্রম করেছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আরও তীব্র হলে, বিশ্ব বাজারে তেলের দামে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে তা।
এমকে গ্লোবালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান প্রতিদিন প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল (এমবিপিডি) অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে (অর্থাৎ, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের প্রায় তিন শতাংশ) এবং প্রায় ১.৫ এমবিপিডি রপ্তানি করে।
 
 আকাশসীমা সংকট: শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার পর, ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার২৪-এর একটি টাইমল্যাপস ভিডিওতে বাণিজ্যিক বিমান শিল্পের উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে, আকাশ পথের সেই সময়ের অবস্থা। হামলার পরের কয়েক ঘণ্টার লাইভ ভিজিটলে দেখা গেছে যে বিমানগুলি রিয়েল টাইমে রুট পরিবর্তন করছে, ইরানের আকাশ থেকে পথ ঘুরিয়ে অন্য বিকল্প রাস্তা বাছতে  হয়েছে তাদের।
 
 বিমান চলাচলে বড় সমস্যা-দুই দেশের সংঘাতের বড় প্রভাব পড়ছে বিমান চলাচলে, আকাশ পথে। সংঘাত শুরুর পর থেকে থেকে ইরানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের উপর বড় প্রভাব পড়তে পারে। সেগুলি কীরকম? যেমন- অনেক দীর্ঘ বিমান যাত্রা, সম্ভাব্য বিলম্ব এবং এবং বিমানের জ্বালানি খরচ ঘুরপথের জন্য বেড়ে যাবে এক ধাক্কায়।
পারমাণবিক আলোচনা- ইজরায়েলের হামলার পর তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছে।
 
 আরও বড় যুদ্ধের আশঙ্কা- দু’ বছর আগে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মাধ্যমে যা শুরু হয়েছিল, তা লেবাননে হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনে হুতিদের মতো ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উপর ইজরায়েলি হামলার পর পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে একাধিক যুদ্ধক্ষেত্রের জন্ম দিয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সকল পক্ষকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তেল আভিভের হামলা ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।‘ যদিও দু' দেশই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং এর প্রভাব প্রতিবেশী দেশগুলিতে পড়ছে।
