আজকাল ওয়েবডেস্ক: দরিদ্র বিচারাধীন বন্দিদের স্বার্থে এবার বড় সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়, এবং তিনি বিচারাধীন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকার পরেও নিজের জামিনের জন্য তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকাপয়সা না থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে সরকার তাঁকে সাহায্য করবে।

নয়া এসওপি, অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরটি বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং এস সি শর্মার বেঞ্চ প্রণয়ন করেছে। তথ্য, বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং এস সি শর্মার বেঞ্চ অ্যামিকাস কিউরি এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ লুথরা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন এসওপি তৈরি করেছে। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করে, যখন শীর্ষ আদালতের নজরে আসে, দেশের হাজার হাজার বন্দি জামিন পাওয়ার পরেও, পর্যাপ্ত অর্থাভাব, জামিনদারের অভাবে কারাগারেই রয়ে গিয়েছেন। ঘটনাটি নজরে আসার পরেই মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। 

আরও পড়ুন: যুদ্ধ কি থামবে? মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক দোহায়, 'ইমিডিয়েট সিজফায়ার'-এর পরামর্শ শুনেই যা সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান-

বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলা আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (ডিএলএসএ) ওই বন্দির কারাগার-মুক্তির জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামিনদার-পরিমাণ পূরণ করতে পারে এবং যদি ট্রায়াল কোর্ট ১ লক্ষ টাকার বেশি নির্ধারণ করে, তাহলে তা কমানোর জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকছে। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, বেঞ্চ জানিয়েছে যে জামিন মঞ্জুরের সাত দিনের মধ্যে যদি কোনও বিচারাধীন বন্দি যদি জেল থেকে মুক্তি না পান, তাহলে জেল কর্তৃপক্ষ ডিএলএসএ সচিবকে বিষয়টি জানাবে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একজন ব্যক্তিকে এই বিষয়টি দেখভালের জন্য নিযুক্ত করবেন। তিনি খতিয়ে দেখবেন জেল-মুক্তির জন্য, সামগ্রিক বিষয়ে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে মজুত রয়েছে কি না আদৌ।

 

আরও পড়ুন:  দুর্ঘটনাপ্রবণ পথ, তাও বেপরোয়া গতি ট্রাকের! গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ল পুণ্যার্থীদের নিয়ে, মুহূর্তে শেষ ৮ জন ...

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যদি অভিযুক্তের কাছে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয়, পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, তাহলে জেলা পর্যায়ের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি রিপোর্ট প্রাপ্তির তারিখ থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে DLSA-এর সুপারিশ অনুসারে জামিনের জন্য তহবিল মুক্তির নির্দেশ দেবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, যেসব ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি সুপারিশ করে যে বিচারাধীন বন্দিকে 'দরিদ্র বন্দিদের সহায়তা প্রকল্প'-এর অধীনে আর্থিক সহায়তার সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে, সেক্ষেত্রে একজন বন্দির জন্য প্রতি মামলায় ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ তুলে সংশ্লিষ্ট আদালতে ফিক্সড ডিপোজিট বা অন্য কোনও নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।