আজকাল ওয়েবডেস্ক: এই ছিল, এই নেই। আনন্দপুর চিনা মন্দির এলাকার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলছেন, তাতে ঘটনা যেন কিছুটা তাই। জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাসের মতোই স্কুটি চালানো শিখতে বেরিয়েছিলেন দু' জনে। তারপর থেকে খোঁজ নেই দু' জনের। ইতিমধ্যে খালের জলে মোবাইল ফোন, গাড়ি উদ্ধারে ঘনাচ্ছে রহস্য। 

 

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে এই যুবক-যুবতী আনন্দপুর থানার খালপাড় এলাকায় স্কুটি চালানো শিখছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রায়দিন একই সময়ে ওই এলাকায় যেতেন। গতকালও গিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না। স্থানীয়রা ওই যুবক যুবতীর স্কুটি এবং মোবাইল এলাকায় পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন আনন্দপুর থানায়। পুলিশ  স্কুটি এবং মোবাইল উদ্ধার করে। শুরু হয় তদন্ত।

আরও পড়ুন: প্রেমিকার স্বামীকে সরিয়ে প্রতিশোধ! ইউটিউব দেখে বোমা বানিয়ে মধ্যমগ্রামে 'ইনস্টাগ্রাম প্রেমিক'? ঘটনায় বড় মোড়

ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল দু' জনের মাঝ রাস্তায় বচসা হয়। বাসিন্দাদের অনেকেই প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, তাঁদের অনুমান বচসার জেরে যুবক যুবতীকে খালের জলে ধাক্কা দেয়। সূত্রের খবর, ওই যুবক এলাকা ছেড়ে পলাতক। স্থানীয়দের অনেকের ধারণা, যুবতী গাড়ি চালাতে গিয়ে খালের জলে পড়ে যান। বাঁচাতে না পেরেই, এলাকা ছেড়ে চলে যান যুবক। তবে আসলে কী ঘটেছে, বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি এখনও। যুবকের খোঁজ চলছে। খালে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ চলছে যুবতীরও। সোমবার রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি শুরু হয়েছে। 

নিখোঁজ যুবতীর নাম রনিতা বৈদ্য (২৩)। ৪/ডি মার্টিন পাড়া, উত্তর পঞ্চান্নগ্রামমের বাসিন্দা।  যুবকের নাম রোহিত আগরওয়াল, বাড়ি ৮৭/বি, উত্তর পঞ্চান্নগ্রামে। 

তার মাঝেই, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ জানা যায়, ওই খাল থেকেই এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তিনি সোমবার নিখোঁজ হওয়া যুবক কি না, তা জানা প্রথমে জানা যায়নি। পরে জানা যায়, যুবকের পরিবার তাঁর দেহ শণাক্ত করেছে। যুবকের দেহ উদ্ধারের কয়েকঘণ্টা পরেই উদ্ধার হয় যুবতীর দেহও। আনন্দপুরের ঘটনায় ২ মৃতদেহকে এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের পরেই পুরো বিষয়টি জানা যাবে। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, আকস্মিক যুবক-যুবতীর এ ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যু অর্থাৎ জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও ধন্দ্বে।  দুজনেরই মৃত্যু হত্যা নাকি দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এর পেছনে কোন তৃতীয় ব্যক্তি নেই।