আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং ক্যামেরুন গ্রিন সেঞ্চুরি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে। এর আগে একই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার তিনজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করেননি। ওয়ানডে ফরম্যাটে একটি ম্যাচে তিনজন সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এমন নজির রয়েছে পাঁচটি। দক্ষিণ আফ্রিকা তিনবার এই নজির গড়েছে। ইংল্যান্ড একবার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এদিন অজিরা করলেন। তিন অজি ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া করেছে ২ উইকেটে ৪৩১ রান।
যে দল আগের চারটি ম্যাচে দুশোর রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারছিল না, সেই অস্ট্রেলিয়া এদিন পাহাড়প্রমাণ এক রান করে বসল। অস্ট্রেলিয়া কখন যে কী করে, কেউ জানেন না। কাকে ছেড়ে কার কথা বলা যাবে। ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ ওপেন করতে এসেছিলেন। দুই ওপেনারই বিস্ফোরক ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের দলে ব্রাত্য শ্রেয়স, এবার ছেড়ে দিলেন নেতৃত্বও
প্রথম উইকেটে ২৫০ রান করেন দুই ব্যাটার। হেড ১০৩ বলে ১৪২ রান করেন। ১৭টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১০৬ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল মার্শের ইনিংস। ক্যামেরন গ্রিন ৫৫ বলে বিস্ফোরক ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় সাজানো ছিল গ্রিনের ইনিংস। গ্রিন অপরাজিত থেকে যান। অ্যালেক্স ক্যারিও ৩৭ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থেকে যান। এরকম মারমুখী অস্ট্রেলিয়াকে দীর্ঘদিন দেখেননি সমর্থকরা। যদিও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ওয়ানডেতে নামার আগে সিরিজের ফলাফল ২-০। তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ ম্যাচে অজি ব্যাটাররা গর্জে উঠলেন। প্রোটিয়া বোলারদের কাছে এর কোনও উত্তরই ছিল না।
এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হাসিম আমলা, রিলি রুশো ও এবি ডিভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। একই বছর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, ফ্যাফ ডু প্লেসি ও ডি ভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, মালান ও জস বাটলার শতরান করেছিলেন।
২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রোটিয়া ব্রিগেডেরডি কক, ভ্যান ডার ডুসেন ও মার্করাম সেঞ্চুরি করেছিলেন। এদিন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার করলেন শতরান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ২ উইকেটে ৪৩১ ওয়ানডে ফরম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে প্রোটিয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধেই অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৪৩৪ রান। সেটাই ছিল সবচেয়ে বেশি। পাহাড়চূড়োয় পৌঁছেও ম্যাচটা কিন্তু হার মেনেছিল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা এক বল বাকি থাকতে এক উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল। এবার অবশ্য সেরকম হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। অস্ট্রেলিয়ার এই রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ব্রিগেড নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। যদিও ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে যেতে পারে। তবে অজিদের রানের পাহাড়েই দক্ষিণ আফ্রিকার পিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
