আজকাল ওয়েবডেস্ক: ''তুমি কেবল একজন গোলকিপারের কথাই বারবার বলো কেন?'' বিরক্ত অস্কার ব্রুজোঁ জিজ্ঞাসা করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল শিবির ছেড়ে চলে আসা গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দীকে। 

ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপারের বিরুদ্ধে স্প্যানিশ কোচের অভিযোগ ছিল, তিনি দেবজিৎকে পছন্দ করেন। সেই কারণে বঙ্গগোলকিপারের প্রতি বেশি আস্থা প্রদর্শন করেন। অস্কারের অভিযোগ ছিল, সন্দীপের এহেন আচরণে প্রভসুখান গিলের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে। 

আরও পড়ুন: ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই মহিলা ক্রিকেটার, গ্রেফতার অভিযুক্ত...

শিল্ড ফাইনালে  এই দেবজিৎ মজুমদারকে পেনাল্টি শুট আউটে পাঠানো নিয়ে ধুন্ধুমার লেগে গিয়েছিল। সন্দীপের কাছে গোয়া বিমানবন্দরে অস্কার জানতে চান, কেন তিনি দেবজিৎকে মাঠে পাঠিয়েছিলেন? তাছাড়া মাঠেও অস্কার জানতে চান সন্দীপের কাছে কেন দেবজিৎকে টাইব্রেকারে পাঠাতে বলা হচ্ছে? সন্দীপের যুক্তি ছিল, টাইব্রেকার বাঁচিয়ে এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন দেবজিৎ। শিল্ড ফাইনাল ইস্টবেঙ্গল হেরে যায় পেনাল্টি শুট আউটে। সাংবাদিক বৈঠকে এসে অস্কার বলেছিলেন, ''আমি কোচিং স্টাফের পরামর্শ অনুসরণ করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে আমার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল।'' তার পর গোয়ায় নেমে ধুন্ধুমার লেগে গিয়েছিল অস্কার ও সন্দীপের মধ্যে। 

সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে ডেম্পোর বিরুদ্ধে অস্কার কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের গোল আগলানোর দায়িত্ব দেন  দেবজিৎকেই। গত কয়েকদিন ধরে মাঠের বাইরের ঘটনার জের কি ইস্টবেঙ্গলকে প্রাভাবিত করল? ইস্টবেঙ্গল-সুলভ পারফরম্যান্স তুলে ধরা গেল না। গোল করে এগিয়ে গিয়েও সেই গোলহজম। বিদেশিহীন ডেম্পো লাল-হলুদকে সবক শিখিয়ে গেল।  

শিল্ড ফাইনালের টাইব্রেকার এবং তার পরের ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে  মোড় নিয়েছে তাতে দেবজিতের উপরে চাপ বাড়ারই কথা। সেই অনন্ত চাপ নিয়ে ডেম্পো ম্যাচে পাঠানো হল বঙ্গসন্তানকে।  ইস্টবেঙ্গল দুটো গোল হজম করল। আর দুটোর ক্ষেত্রেই দেবজিতের কম-বেশি দোষত্রুটি রয়েছে। অনেকেই এরপরে বলেছেন, চাপে থাকা দেবজিৎকে আজ মাঠে পাঠানো উচিত হয়নি। 

সুপার কাপের শুরুতেই ম্যাচ ড্র করে চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের। ৩১ তারিখ মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। সেই ম্যাচের আগে প্রবল চিন্তায় পড়ে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। 

আরও পড়ুন: 'জানি না আর আসব কিনা..', তাঁর আর কোহলির শেষ সফর জানিয়ে দিলেন রোহিত