আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিল্ড ফাইনালের ডার্বিতে মাঠের যুদ্ধের আগেই পর্দার আড়ালে দুই যুযুধানের মধ্যে মনোমালিন্য। মোহনবাগানের প্র্যাকটিসের সময় অনুযায়ী রাখা হয়েছিল প্রাক ডার্বি সাংবাদিক সম্মেলন। তাতে চটে যায় ইস্টবেঙ্গল শিবির। ডার্বির সাংবাদিক সম্মেলনে পাঠানো হয়নি হেড কোচ অস্কার ব্রুজোকে। তার বদলে এলেন বিনো জর্জ। সকালে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সাড়ে লাল হলুদ ব্রিগেড। তাই সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করতে চেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু রাখা হয় দুপুরে। পাঠানো হয় সহকারী কোচকে। অবশ্য শিল্ড শুরুর সাংবাদিক সম্মেলনেও যোগ দিয়েছিলেন বিনো জর্জ। বিপক্ষকে সম্মান করলেও অস্কার ব্রুজোর ডেপুটি জানিয়ে দিলেন, তাঁদের আশা, মোহনবাগানের এই ডামাডোলের প্রভাব দলের খেলায় পড়তে পারে। তার ফায়দা তুলতে চাইবেন তাঁরা।

বিনো জর্জ বলেন, 'আমি মোহনবাগানের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানি। ওদের সমর্থকরা স্টেডিয়ামে না এলে, আমাদের সাপোর্টারদের সংখ্যা বেশি থাকবে। সেটা আমাদের জন্য ভাল। তবে ওরা ডার্বিকে গুরুত্ব দেয়। তাই শক্তিশালী দল খেলাবে। ফ্যানরা প্রতিবাদ করছে ঠিকই, তবে সময় এলে ওরা প্রিয় দলকে সমর্থন করবে। আশা করছি স্টেডিয়াম ভরে যাবে।'
শিল্ড খেতাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদের জয়ের সংখ্যা ২৯। সেখানে সবুজ মেরুনের ২০। জুনিয়রদের নিয়ে ২০১৮ সালে শেষবার শিল্ড জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেখানে মোহনবাগানের শেষ শিল্ড জয় ২২ বছর আগে, ২০০৩ সালে। লাল হলুদকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গঙ্গাপারের অপর ক্লাব। দীর্ঘ বছর পর এবারের ইস্টবেঙ্গল দল বেশ শক্তিশালী। ধারে-ভারে বাগানকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিজেদের সেরা ভেবেই নামবে লাল হলুদ ব্রিগেড। অপেক্ষা ৩০তম খেতাবের। বিনো বলেন, 'আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করি। ওরা অন্যতম সেরা দল। সব বিভাগে ভাল প্লেয়ার আছে। তবে আমার মনে হয়, ইস্টবেঙ্গল সেরা দল। ২৯ বার শিল্ড জিতেছে। ৩০তম খেতাবের অপেক্ষায়। শুধু প্লেয়ারদের জন্য নয়, কোচদের জন্যও ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। ডার্বি একটা আবেগ। প্রত্যেক ডার্বিতে আমরা জিততে চাই। দীর্ঘদিন পর ইস্টবেঙ্গল ভাল দল করেছে। ব্যক্তিগত নৈপূণ্যতা প্রশংসনীয়।'
শিল্ড ফাইনালে অভিষেক হবে হিরোশির। কলকাতা ময়দানে ডার্বি দিয়ে হাতেখড়ি হলেও, বিনোর দাবি, তিনি তৈরি। অস্কারের ডেপুটি মনে করেন, যখন প্লেয়াররা বড় ক্লাবে সই করে, তাঁরা ডার্বির গুরুত্বের কথা জানে। শনিবারের বড় ম্যাচে লড়াই বাংলাদেশে খেলা দুই এককালীন সতীর্থের। তবে সেই দ্বৈরথকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি বিনো। দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। সবাইকেই পাবেন অস্কার। জাতীয় দলের ফুটবলাররাও যোগ দিয়েছে। অর্থাৎ, পূর্ণ শক্তি নিয়েই নামবে ইস্টবেঙ্গল। তবে লাল হলুদের ডেপুটি কোচের চিন্তা কনভার্সন রেট। গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি হলেও কনভার্ট হচ্ছে না। ডার্বিতে সেটা কোনওভাবেই চাইবে না ইস্টবেঙ্গল শিবির। এর আগে রেফারি নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অস্কার। লাল হলুদের সহকারী কোচের আশা, শিল্ড ফাইনালে রেফারি নিয়ে সমস্যা হবে না। ভাল রেফারির ব্যবস্থা করবে আইএফএ।
