আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। রান আউট হওয়ার পর মিনিট খানেক ক্রিজের মধ্যেই মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। আর এরকম প্রতিক্রিয়া হবে নাই বা কেন। নিশ্চিত দ্বিশতরান হাতছাড়া হল ভারতীয় ওপেনারের। টেস্টের প্রথম দিন যে ছন্দে শুরু করেছিলেন ব্যাটিং এদিনও সেই একই তালে ব্যাট করছিলেন। প্রত্যেকটা বল মিডল করছিলেন। একটা যোগাযোগের ভুলে ফিরতে হল তাঁকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নয়া দিল্লি টেস্টে দুর্দান্ত ইনিংসের শেষে দুঃস্বপ্নের মতো রান আউটে ফিরতে হল যশস্বী জয়সওয়ালকে। ১৭৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হলেন তিনি। ক্রিকেট মহলের মতে রান আউটটা পুরোপুরি এক ভুল বোঝাবুঝির ফল। উল্টোদিকে ছিলেন ক্যাপ্টেন শুভমান গিল। এক মারাত্মক মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ফল হিসেবে উইকেট দিতে হল যশস্বীকে। ব্যাট করছিলেন জয়সওয়ালই। ক্যারিবিয়ান পেসারের বল তিনি একস্ট্রা কভারে মেরে সোজা দৌড়ান।
আরও পড়ুন: শুভমনের প্রেমে মজলেন 'দিল্লিওয়ালি', মাঠেই প্রেমের প্রস্তাব, ভাইরাল রহস্যময় তরুণীর ছবি
কিন্তু গিল বেরিয়ে এসেও তাঁকে বারণ করে দেন। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। জয়সওয়াল এতটাই বেরিয়ে এসেছিলেন আর সময় মতো ক্রিজে ঢুকতে পারেননি। আউট হয়ে বলার অধিনায়ককে বলার চেষ্টা করেন যে কলটা তাঁর ছিল। শুভমান গিল বলার চেষ্টা করেন যে রানটা ছিল না, ফিল্ডারের হাতে বল ছিল। শেষে দু’জনই একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলেন অবিশ্বাস আর হতাশায় ভরা চোখে।
কিন্তু দোষটা কার? অনিল কুম্বলে বলছেন, এটা জয়সওয়ালেরই দোষ। ও নন-স্ট্রাইকার এন্ডেও যেতে পারত না কারণ বলটি সরাসরি মিড-অফে ফিল্ডারের দিকে চলে গিয়েছিল। একেবারেই কোনও সুযোগ ছিল না। একমাত্র সন্দেহ ছিল যে বলটি বেইল খুলে যাওয়ার সময় কিপারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল কিনা। কিন্তু আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ারের কাছেও পাঠানি এবং এটি আমার কাছে কিছুটা অবাক করার মতো ছিল।''
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ওপেনার ড্যারেন গঙ্গা অন্যরকম মনে করেন, ''একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে, মাঝে মাঝে শট খেলার পর নড়াচড়া করেন, তখন আপনার মনে হয় আপনি এটা করতে পারবেন। জয়সওয়ালের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। ও অনুভব করেছিল যে ও অন্য প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখার পর মনে হয় ৫০-৫০। এই ঝুঁকিটা নেওয়া উচিত হয়নি, বিশেষ করে নতুন দিনের শুরুতে সেট হয়ে থাকার পর।''
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত। ৩৭৮ রানে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে লড়াই করছে রোস্টন চেজরা। ভারতের প্রথম ইনিংসের ৫১৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। শনিবার দিনের শেষে ১৪০ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ক্রিজে রয়েছেন সাই হোপ (৩১) এবং টেভিন ইমলাচ (১৪)। ফলো অন বাঁচাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভরসা হোপ। শূন্য রানে ফেরেন চেজ। মাত্র ৭ বল ক্রিজে ছিলেন। খাতা খুলতে পারেনি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ রানে ফেরেন জন ক্যাম্পবেল। তেজনারিন চন্দ্রপল শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ৩৪ রান করে আউট হন। তবে তার আগে দ্বিতীয় উইকেটে আলিক আথানেজের সঙ্গে জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন। ৮৪ বলে ৪১ রান করে আউট হন আথানেজ। মাত্র এক রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। চূড়ান্ত ব্যর্থ রোস্টন চেজ। স্কোরবোর্ডে একটি রানও যোগ করতে পারেননি। হোপকে ঘিরেই আশা দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন: ভারতের ট্রফি চুরি করার জের, বড় শাস্তি পেতে চলেছেন নকভি
