আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেলবোর্নের বদলা এল হোবার্টে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। তবে একপেশে নয়, ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্রিলিয়ান্স এবং বাকি টিমগেমে ভর করে ম্যাচ পকেটে পুরল ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে ওয়াশিংটনের 'সুন্দর' ইনিংসে ভর করেই ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। বাকি ব্যাটাররা ছোট ছোট ইনিংসে সাহায্য করলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ম্যাচ ফিনিশ করলেন ওয়াশিংটনই।
তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন জিতেশ শর্মা। দ্বিতীয় ম্যাচে শোচনীয় হারের পর অর্শদীপ সিংকে খেলানোর দাবি তুলেছিলেন ভক্তরা। টি-টোয়েন্টির এক নম্বর বোলার ফিরলেন, ভারতও জিতল।
শুধু ফিরলেন না, কামব্যাক ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেলেন। এদিন ভারত প্রথমে বল করে শুরুতেই অর্শদীপ ফেরান বিপজ্জনক হেডকে। তাও আবার প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই।
তাঁর আউট সুইং সোজা ওপরে তুলে দেন হেড। অধিনায়ক স্কাই কোনও ভুল করেননি। তিন নম্বরে নামা জস ইংলিসকেও মাত্র ১ রানে ফেরান অর্শদীপ। ত
বে আগের দিন যেমন একা অভিষেক শর্মা লড়াই করেছিলেন এদিন সেই চিত্রই দেখা গেল টিম ডেভিডের ব্যাট থেকে। চার নম্বরে নেমে পাওয়ার প্লে-এর ফায়দা তুলে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক মারলেন।
৩৮ বলে ৭৪ করে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিলেন। তবে অধিনায়ক মিচেল মার্শ এবং মিচেল ওয়েন রান পাননি। দুজনকেই পরপর দুটি বলে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী।
চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সেখান অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে আসে টিম ডেভিড এবং মার্কাস স্টয়নিস। এই পার্টনারশিপেই লড়াইয়ের জায়গায় চলে গিয়েছিল অজিরা।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের তুলনায় এদিনের উইকেট ছিল অনেকটাই পাটা। পাশাপাশি, ডেথ ওভারে বুমরা এবং অর্শদীপের জুটি রান তুলতে না দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া তোলে ১৮৬।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকে চিরাচরিত ভঙ্গিতে হাত খোলেন অভিষেক। অন্যদিকে, এদিনও ফর্মে দেখা যায়নি শুভমানকে। ১৬ বলে ২৫ রান করে টিম ইন্ডিয়ার গাড়ি গিয়ারে ফেলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
তবে এদিন নাথান এলিস দুর্দান্ত বল করছিলেন। তাঁর শর্ট বলের শিকার হন অভিষেক। তাঁর বলে এলবি হন গিল। একই ভাবে অক্ষর প্যাটেলকেও শর্ট বলের ফাঁদে ফেলেই আউট করেন তিনি।
এদিন সূর্যকুমারকে মারকুটে ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছে। ১১ বলে ২৪ করে ফিরলেও ইনটেন্ট ছিল মারারই। মার্কাস স্টয়নিসের বল সামনে থেকে আচমকা লাফিয়ে ওঠায় সামলাতে না পেরে ফেরেন তিনি।
তিলক ভার্মাকে এদিন দেখা যায় অ্যাঙ্করের ভূমিকায়। অক্ষর মেরে খেলার চেষ্টা করলেও ফেরেন ১২ বলে ১৭ রান করে। তারপরেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়, যখন ক্রিজে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
২৩ বলে ৪৯ রানের মারকাটারি ইনিংসেই ধরাশয়ী অস্ট্রেলিয়া। তিলক ফিরলেও যখন মনে হচ্ছিল ভারত চাপে পড়বে সেই সময়েই জিতেশ শর্মা নেমে যোগ্য সঙ্গ দেন।
তিনি অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২২ রান করে। এদিনের জয়ের পর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ বর্তমানে ১-১ সমতায় রয়েছে।
