আজকাল ওয়েবডেস্ক: সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সূর্যর হাতেই থাকবে দলের রিমোট কন্ট্রোল। গতবারের টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন দল ভারত। ফলে সূর্যর দায়িত্ব আরও বাড়ছে। ৩৪ বছর বয়সী সূর্যকুমার যাদব তাঁর অবসর নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিলেন।
নিউজ ২৪ নামের একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সূর্য জানিয়েছেন, সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি ফোকাস করতে চান আগামী তিন-চার বছর। ২০২৮ সালের লস এঞ্জেলস অলিম্পিককে পাখির চোখ করছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ৩৭-৩৮ বছর বয়স হলেও তিনি নিজেকে পিট রাখতে চান। সূর্য বলছেন, ''এই মুহূর্তে, আমার বয়স প্রায় ৩৪ বা ৩৫। আমার মনে হয় আগামী তিন থেকে চার বছর যদি আমি সাদা বলের ক্রিকেটে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করি, তাহলে আমার এবং দলের জন্য ভাল হবে। আমি আরও কার্যকরীভাবে অবদান রাখতে পারব। সত্যি বলতে ২০২৮ সালের অলিম্পিক এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমার ভাবনায় রয়েছে। দেখা যাক কীভাবে এগোয়...। ৩৭ বা ৩৮-এ পৌঁছে আমার নিজেকে ফিট রাখতে হবে।''
ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, তিনি যদি ক্রিকেটার না হতেন, তাহলে হয়তো ব্যবসায়ী হতেন। তাঁর স্ত্রী পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। সূর্য বলছেন, ''আমি অতি অবশ্যই ব্যবসায়ী হতাম। একশো শতাংশ। ব্যবসা সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা ছিলই। আমার বিয়ের পর থেকে, যেহেতু আমার স্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবার থেকে এসেছে, তার সঙ্গে কথা বলে আমি বুঝতে পেরেছি যে আমি যদি ক্রিকেট না খেলতাম, তাহলে আমার টাকা দ্বিগুণ, তিনগুণ বা চারগুণ হতে পারত।''
সূর্যকুমার যাদব বড় মন্তব্য করে বসলেন। এহেন সূর্যই এশিয়া কাপ জেতার পরে অভিযোগ করেছিলেন মহসিন নকভির বিরুদ্ধে। নাটকের পর নাটক! এশিয়া কাপ জুড়ে বিতর্ক আর বিতর্ক। খেলাতে বিতর্ক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাই। ভারত চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিতে অস্বীকার করে। পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘা আরও ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। সর্বসমক্ষে তিনি রানার্স আপের চেক ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের চেক সলমন আলি আঘার হাতে তুলে দেন মহসিন নকভি। মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময়ে সলমন আলি আঘা সেই চেক ছুড়ে ফেলে দেন। তাঁর কাণ্ড দেখে মঞ্চে উপস্থিত সবাই হতবাক।
সূর্যকুমার যাদব সেই ট্রফি বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ''আমরা মোটেও দরজা বন্ধ করে দিইনি। ড্রেসিংরুমের ভিতরেও বসে থাকিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাউকে অপেক্ষাতেও রাখিনি। ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা। এটাই আমি দেখেছি। কিছু লোক আমাদের ভিডিও করেছে। তবে আমরা ড্রেসিং রুমের ভিতরে যাইনি।''
ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার করে দেন, তাঁদের উপরে ভারত সরকার বা বোর্ডের তরফ থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সিদ্ধান্ত। সূর্য বলেছেন, ''প্রথমত, পরিষ্কার করে দিই, সরকার বা বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এও বলা হয়নি যে এর হাত থেকে ট্রফি নেবে না। আমরা মাঠেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসিসি আধিকারিকরা মঞ্চে ছিল আর আমরা নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি দেখেছি মঞ্চে ওরা কীসব যেন বলছে। কী বলছিল, সেটাও আমার জানা নেই। দর্শকদের মধ্যে অনেকেই গালমন্দ করছিলেন। তার পর আমাদের চোখে পড়ে ওদের কোনও প্রতিনিধি ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল।''
