আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফুটবল মাঠে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবুও নিজেকে বদলাননি লুইস সুয়ারেজ। এবারও করলেন তেমনই এক কাণ্ড। ফাইনালে হতাশার হার থেকে সংযম হারিয়ে বিপক্ষ দলের এক জনকে থুতু ছেটালেন সুয়ারেজ। এর ফলে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়লেন লুইস সুয়ারেজ। উরুগুয়ের স্ট্রাইকারকে ৬ ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করল মেজর লিগ সকার। শাস্তি পেলেন তাঁর সতীর্থ সের্জিও বুস্কেতসও। তাঁকেও দু’ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার লিগস কাপের ফাইনালে সিয়াটেল সাউন্ডার্সের কাছে লুমেন ফিল্ডে ৩–০ গোলে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয় ইন্টার মায়ামির। হারের হতাশা সহ্য করতে না পেরে সিয়াটেলের এক সহকারী কোচের মুখে প্রকাশ্যে থুতু দিয়ে বসেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচের পর দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সুয়ারেজ এবং সাউন্ডার্সের মিডফিল্ডার ওবেড ভারগাস। ক্যামেরায় ধরা পড়ে, বিপক্ষ ফুটবলারের গলায় হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছেন সুয়ারেজ। মার্সেলো ওয়েইগান্দ, রদ্রিগো দে পল ও গোলরক্ষক অস্কার উস্তারির মতো ফুটবলাররা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। যদিও ঝামেলা তখনও থামার জো ছিল না। সুয়ারেজ হঠাৎই সাউন্ডার্সের নিরাপত্তা পরিচালক জিনে রামিরেজকে উদ্দেশ্য করে থুতু দেন। সেই সময় ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি দ্রুত সুয়ারেজকে সেখান থেকে সরিয়ে আনেন।
পরে ওই কাণ্ডের জন্য সুয়ারেজ ক্ষমাও চান। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। সুয়ারেজের এহেন আচরণের পর শাস্তির খাঁড়া যে নেমে আসবে সেটা জানাই ছিল। সেই শাস্তির পরিমাণটা এবার জানা গেল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি। সের্জিও বুস্কেতসকেও দু’ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই ঝামেলার সময় ওবেদ ভার্গাসকে ঘুসি মারেন তিনি। অসংযমী আচরণের জন্য সাউন্ডার্সের কোচিং স্টাফ সদস্য স্টিভেন লেনহার্টও পাঁচ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিজাজির সঙ্গে সরকারিভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করল লাল–হলুদ শিবির
সুয়ারেজের এই অসংযমী আচরণ অবশ্য নতুন নয়। এর আগে একাধিক বার খেলার মাঠে সংযম হারিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচে চিয়েলিনিকে কামড় বসানো। যা নিয়ে ফুটবল বিশ্বে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, লিগস কাপের ফাইনালে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ এগিয়ে রেখেছিলেন মায়ামিকে। লিওনেল মেসি, সুয়ারেসের আক্রমণ সিয়াটল সামলাতে পারবে না বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হয় তার উল্টো। গোটা ম্যাচে মেসিকে খেলতেই দেননি সিয়াটেলের ফুটবলারেরা। সুয়ারেস চেষ্টা করলেও গোল করতে পারেননি। ০-৩ গোলে হারতে হয় মায়ামিকে।
তারপর খেলা শেষে ঘটে ওই কাণ্ড। মাঠের নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খান। বিতর্কের মাঝে ক্ষমা চান সুয়ারেজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘খেলার মধ্যে আবেগ ও হতাশার বশে ভুল করে ফেলেছি। ম্যাচ শেষে যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত ছিল।’ যদিও পার পাননি। শাস্তি পেতে হল সুয়ারেজকে।
