আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিডনিতে দেখা গেল রোহিত-রোশনাই। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভারতকে জিতিয়ে তবেই থামলেন রোহিত শর্মা। শিষ্যের এমন ব্যাটিং তাণ্ডব দেখার পরে হিটম্যানের ছেলেবেলার কোচ দীনেশ লাড জানান, রোহিত ২০২৭ বিশ্বকাপের অবসর নেবেন।
অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে রোহিত অপরাজিত থেকে যান ১২১ রানে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন দীর্ঘদিনের বন্ধু বিরটা কোহলি। এটাই হয়তো দুই তারকা ব্যাটারের শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর।
ম্যাচের শেষে রোহিত বলেছেন, জানি না আমরা আসব কিনা এখানে। রোহিত সেঞ্চুরি করলেন, কোহলি রান পেলেন। তার পরেও কি ২০২৭ বিশ্বকাপের দলে তাঁদের জায়গা সুরক্ষিত হল?
দীনেশ লাড বলেন, ''রোহিত আজ যেভাবে ব্যাট করল এবং ভারতের জয়ে যে অবদান রাখল, তা এককথায় অনবদ্য। ম্যাচ দেখে খুব আনন্দ লাগল। ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলবে রোহিত। তার পরে অবসর নেবে।''
আরও পড়ুন: একটা ম্যাচই বিশ্বকাপের দরজা হয়তো খুলে দিল, তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে কী বললেন গিল?
ভারতকে জয় এনে দিতে সাহায্য করেন কোহলি আর রোহিত। এই দুই মহাতারকা প্রসঙ্গে আগে শচীন তেণ্ডুলকর বলেছিলেন, এই দুই ক্রিকেটার তাঁর রেকর্ড ভাঙতে পারেন। কোহলি সিডনিতে রান পেয়েছেন। ছন্দ ফিরে পান ব্যাটে। দীনেশ লাড কোহলি সম্পর্কে বিরাট মন্তব্য করেন, ''বিরাট যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও জায়গায় সাফল্য পেতে পারে। শচীন অনেকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে বলেছিল, রোহিত-বিরাট ওর রেকর্ড ভাঙতে পারে।''
অস্ট্রেলিয়ায় সফর করতে আর আসবেন কিনা জানেন না রোহিত শর্মা। হয়তো এটাই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার শেষ সফর।
শেষ সফরে ঝলক দেখিয়ে গেলেন রোহিত ও কোহলি। প্রথম দুটো ওয়ানডে-তে কোহলির ব্যাট গর্জে ওঠেনি। খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। তৃতীয় ওয়ানডেতে কোহলি ফিরে পেলেন তাঁর টাচ। তাঁর ছন্দ।
রোহিত শর্মাও প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত রানে ফেরেন। তৃতীয় ম্যাচে তো সে়ঞ্চুরি হাঁকিয়ে রোহিত সপ্তম স্বর্গে বিচরণ করছেন।
এহেন রোহিত অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও রোহিত শর্মাকে বললেন, ''আমি এখানে খেলতে পছন্দ করি। এখানে আসতে পছন্দ করি। ২০০৮ সালের দারুণ সব মুহূর্ত মনে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আর আসব কিনা আমার জানা নেই। তবে এই কয়েক বছরে এখানে খেলে মজা পেয়েছি। খারাপ মুহূর্ত এসেছে আবার ভাল মুহূর্তও রয়েছে এখানে। দিনের শেষে এখানে যে ক্রিকেট খেলেছি, সেটাই স্মৃতিতে নিয়ে ফেরত যাচ্ছি।''
রোহিত শর্মা, এই সেঞ্চুরিটা কি গৌতম গম্ভীরকে জবাব দিলেন? নাকি নির্বাচক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজিত আগরকরকে?
শনিবার সিডনিতে রো-কো জুটি দেখিয়ে দিলেন, ফর্ম ইজ টেম্পোরারি বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি হাঁকালেন স্যর ডনের দেশে। তার পরে কোহলির বিরাট আলিঙ্গন। দু'জনেই হাসছেন তখন। ওই হাসি তো জবাব দেওয়ার। ওই হাসি যুদ্ধে জিতে নেওয়ার। এই লড়াই তো কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছিল না। ছিল নিজের দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর বিরুদ্ধেও। ছিল গম্ভীরের অনাস্থার বিরুদ্ধে। ছিল সেই সব মানুষের বিরুদ্ধে যাঁরা দুই মহাতারকার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ''ওদের এবার সরে যাবার সময় হয়েছে।'' সেঞ্চুরি করেও রোহিত কি জানেন তিনি স্থানচ্যুত হবেন না আর? কোহলিও কি সেই গন্ধ পেলেন?
