আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা। ওদিনই আবার এডিলেডে ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। পারথের ম্যাচ হেরে গিয়েছে ভারত। তাই এডিলেডে জিততেই হবে। নাহলে সিরিজ হারতে হবে।
প্রথম একাদশে বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। উইকেটের কথা ভেবে কুলদীপকে খেলানো হতে পারে। এদিকে, পারথে প্রথম একদিনের ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি রান পাননি। তাই বলে গোটা সিরিজটাই তাঁদের খারাপ যাবে, এমন ভাবতে রাজি নন ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক। কোটাকের আশা, দ্রুত ফর্মে ফিরবেন দুই তারকা ক্রিকেটার।
এডিলেডে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কোটাক বলেন, ‘ওদের ব্যাটিং দেখে কোথাও জড়তা রয়েছে বলে মনে হয়নি। ওরা আইপিএলে খেলেছে। প্রস্তুতিও ভাল হয়েছে। দু’জনেরই অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগেও ওদের প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। তাই ফর্ম নিয়ে এখনই চিন্তার কারণ দেখছি না। দু’জনকে দেখেই মনে হয়েছে ছন্দে রয়েছে। প্রত্যেক নেট সেশনে ওদের মানসিকতা মুগ্ধ করছে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেমেছেন রোহিত–কোহলি। মাঝের এই কয়েক মাসে বোর্ড কি যোগাযোগ রেখেছিল দু’জনের সঙ্গে? কোটাকের উত্তর, ‘ওদের ফিটনেসের অবস্থা এবং প্রস্তুতি কেমন চলছে তা আমরা জানতাম। ওরা মাঝেমাঝেই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যায়। সেখান থেকে ভিডিও এবং খবর পাই। অনুশীলনের খুঁটিনাটি জানানো হয় আমাদের। সত্যি বলতে, সব সময় খবর রাখা হয় না। যখন দরকার তখন খবর নেওয়াটাই আসল। দরকার না থাকলে ওদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাজকর্মের মাঝে ঢুকে পড়া অনুচিত। ওরা ঠিকঠাক কাজ করার সময়েও আপনি ঢুকে পড়তে চাইলে সেটা খারাপ দেখাবে।’ কোটাক আরো জানিয়েছেন, অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার না থাকা তাঁদের কাছে বড় ধাক্কা। তবে এতে নীতীশ রেড্ডির কাছে সুযোগ এসে গিয়েছে। কোটাকের কথায়, ‘হার্দিকের মতো ক্রিকেটার দলে না থাকলে তার অভাব বোঝা যাবে। ইতিবাচক দিক হল, নীতীশ খেলার সময় পাচ্ছে। ওকে আমরা তৈরি করছি। সব দলেই একজন অলরাউন্ডার দরকার হয়। নীতীশকে দিয়ে সেই ভূমিকা পালন করানোর চেষ্টা করছি। প্রস্তুতি দেখে বলতে পারি, সব ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। হার্দিকের মতো ক্রিকেটারকে মিস তো করবই। তবে নীতীশের সময় পাওয়াটাও দরকার।’
