আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার ফোরে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ম্যাচে একাধিক ক্যাচ মিস করেছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। সেই খেসারত ম্যাচে দিতে না হলেও ফাইনালের আগে এটা বাড়তি উদ্বেগ। তবে মেগা ফাইনালের আগে ক্যাচ মিস নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, ক্যাচ মিসে ফিল্ডারদের কোনও দোষ নেই। দলের সকলেই ভাল ফিল্ডার। স্টেডিয়ামের আলোর জন্য রাতের দিকে বল ধরতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনি জানালেন, দুবাইয়ের ‘রিং অব ফায়ার’ স্টেডিয়ামের আলোয় ভারতীয় ফিল্ডারদের জন্য ক্যাচ ধরা বেশ কঠিন হয়ে উঠছে। এমনিতেই, দুবাইয়ে রাতের আলোয় ক্যাচ ধরা বরাবরই কঠিন। তার জন্যই উঁচুতে ওঠা বলের লাইন বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে ফিল্ডারদের। বুধবার বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পাকা করেছে টিম ইন্ডিয়া। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাট সইফের ক্যাচ তিনবার ফেলেছেন ফিল্ডাররা। অন্যদিক থেকে পরপর উইকেট পড়তে থাকায় সেই ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হয়নি। এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে সূর্যরা অপরাজিত। সুপার ফোরে এখনও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে ভারতের। সেটি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হলেও তার আর খাতায়-কলমে গুরুত্ব নেই।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুখোমুখি। যে দল জিতবে, রবিবার সেই দল ফাইনালে খেলবে ভারতের বিরুদ্ধে। ভারতকেও বুধবার ১৬৮ রানে আটকে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে হারানো আর ভারতের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া এক ব্যাপার নয়। একাধিক ক্যাচ ফেললেন ভারতের ফিল্ডাররা। এই ক্যাচ ফেলা ভারতের হেডস্যর গৌতম গম্ভীরকে চিন্তায় ফেলতে পারে। ফাইনালের আগে ফিল্ডিং নিয়ে পড়তে হবে গম্ভীরকে। এখনও পর্যন্ত ভারত প্রাধান্য নিয়েই ক্রিকেট খেলেছে এশিয়া কাপে। চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে উঠতে আর এক কদম দূরে ভারতীয় দল। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের বল গড়ানোর আগে থেকেই তর্জন-গর্জন করছিলেন ফিল সিমন্স, মেহেদি হসানরা। সিমন্স বলেছিলেন, ''সবারই ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশেরও রয়েছে।''
মেহেদি হাসান বলেছিলেন, ''আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই এই ম্যাচ।'' বুধবার ভারতের ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে গেল ১২৭ রানে। রান তাড়া করাটা একদমই ভাল হয়নি বাংলাদেশের। হার্দিক পাণ্ডিয়ার প্রথম ওভারে ওঠে চার রান। বুমরাহ বল করতে এসেই আঘাত হানেন। তানজিদকে ফেরান চ্যাম্পিয়ন বোলার। কুলদীপ যাদবকে সুইপ মারতে গিয়ে ইমন ফেরেন অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৯ বলে ২১ রান করেন। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায় ৪৬ রানে। ৬৫ রানে তৃতীয় উইকেট যায় বাংলাদেশের। এদিকে রান রেট বাড়তে শুরু করে। বড় শট খেলতে গিয়ে তৌহিদ হৃদয় আউট হন ৭ রানে। খাতা না খুলে বোল্ড হন শামীম। জাকের আলি রান আউট হন মাত্র ৪ রানে। সইফ হাসান বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রেখে দেন। যখনই রানের দরকার তখনই ছক্কা হাঁকান তিনি।
১৫ ওভারের প্রথম বলে সইফের ক্যাচ ফেলেন শিবম দুবে। পরের বলেই সইফুদ্দিন ধরা পড়েন তিলক ভার্মার হাতে। নিজেদের অবস্থা আরও কঠিন করে ফেলে বাংলাদেশ। ভাগ্য ভাল সইফের। বরুণের ওভারেই ক্যাচ তুলে বেঁচে যান তিনি। এই যাত্রায় ক্যাচ ফেলেন ভারতের উইকেট কিপার সঞ্জু স্যামসন। রিশাদ হোসেন ও তানজিম দ্রুত ফেরেন। বাংলাদেশ নিজেদের বিপন্ন করে। অন্য প্রান্তে সইফের মতো জমে যাওয়া ব্যাটার রয়েছেন অথচ রিশাদ ও তানজিম নায়ক বনতে চেয়েছিলেন। পরপর দু'বলে দুই উইকেট নেন কুলদীপ। ম্যাচ জেতা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। সইফ একা লড়লেন। ৬৯ রানে তাঁকে ফেরান বুমরাহ। বাকিরা সেভাবে আর লড়লেন কোথায়! বাংলাদেশ ব্যাটারদের অয়ারাম-গয়ারাম ব্যাটিং রাতের ঘুম কাড়তে পারে সিমন্সের।
