আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলবেন বিরাট কোহলি? যা সূত্রের খবর, এশিয়া কাপের পর ওয়ানডে দল নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, রোহিত ও বিরাটের সঙ্গে ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চায় বোর্ড। দু’জনকেই ভাবার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচকরা আর রোহিতকে ওয়ানডে অধিনায়ক চান না। এদিকে, সূত্রের খবর, রোহিত ও বিরাট সম্ভবত অস্ট্রেলিয়াতেই শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন। অবশ্য বিরাটের ক্ষেত্রে ‘যদি কিন্তু’ থাকছে। কারণ তাঁর ফিটনেস লেভেল টিম ইন্ডিয়ার অন্য যে কোনও ক্রিকেটারের থেকে অনেক বেশি।
বিরাট কোহলির প্রাক্তন সতীর্থ নভদীপ সাইনি জানিয়েছেন, যা পরিস্থিতি ২০২৭ বিশ্বকাপেও খেলে দেবে বিরাট। আরসিবিতে দু’বছর বিরাটের সঙ্গেও খেলেছেন নভদীপ। খুব কাছ থেকে দেখেছেন কোহলিকে। সেই নভদীপ বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে দেখলাম লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোহলি। গালে পাকা দাড়ি। এটা দেখে অনেকেই বলছে কোহলি বুড়ো হয়ে গেছে। আরে ভাই, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দাড়ি তো পাকবেই। তাতে কোহলির ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলা আটকাবে বলে আমার মনে হয় না।’
এটা ঘটনা, ভারতের হয়ে সব ঘরানার ক্রিকেটেই মোটামুটি খেলে ফেলেছেন নভদীপ। কিন্তু থিতু হতে পারেননি। এখন আর দলে জায়গাও পান না।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক টি২০ ও টেস্ট থেকে অবসর নিলেও একদিনের আন্তর্জাতিকে রয়েছেন বিরাট। ভারত ফের একদিনের সিরিজ খেলবে সেই অক্টোবরে। অস্ট্রেলিয়া বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ রয়েছে। অনেকেই বলাবলি করছেন, ওই সিরিজই হয়ত বিরাট ও রোহিতের জন্য শেষ সিরিজ হতে চলেছে। কিন্তু নভদীপ বললেন অন্য কথা।
এদিকে, পেসারদের সুস্থ রাখাই এখন টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে বুমরাকে বেছে বেছে ম্যাচ খেলানো হচ্ছে। ইংল্যান্ড সিরিজে পাঁচটির মধ্যে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছেন বুমরা। ওই সফরেই চোট পেয়েছিলেন আকাশদীপও। পেসারদের এই ঘন ঘন চোট পাওয়াই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
একমাত্র মহম্মদ সিরাজ ছাড়া টানা পাঁচটি টেস্ট ভারতের কোনও পেসার খেলেননি। কিন্তু টানা খেলার ফলে তাঁর বলের গতিও কমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু জিম এক্সারসাইজের পরিবর্তে পেসারদের মাঠে দৌড়ের উপর জোর দিচ্ছেন। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীরও লে রু’র কথায় সহমত পোষণ করেছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কিছু ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ব্রঙ্কো টেস্ট শুরু করে দিয়েছেন। ক্রিকেটারদের দমের পরীক্ষা নেওয়া হয় এই টেস্টের মাধ্যমে। ইয়ো ইয়ো টেস্ট ও দুই কিলোমিটার দৌড়ের সঙ্গে এই টেস্টও এখন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের জন্য।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ব্রঙ্কো টেস্ট চালু করা হয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটারের ইতিমধ্যেই এই টেস্ট হয়েছে। মূলত ফিটনেস বাড়ানোর জন্যই এই টেস্ট করা হয়। দেখা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশেষ করে পেসাররা মাঠে দৌড়নোর বদলে জিমেই কসরত করে নেন। ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে দৌড়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে।’
