দীপাবলির পর থেকেই আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করেছে, আর তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বেড়ে উঠছে মৌসুমি অসুস্থতার প্রভাব। এই সময় সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বরের মতো সমস্যাগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা হাওয়া আর দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে অনেকে সহজেই এই সমস্যার শিকার হন। বেশিরভাগ মানুষ ওষুধ খেয়ে উপশম পেতে চান, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
2
6
আদা ও মধু: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি (প্রদাহরোধী) এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল (জীবাণুরোধী) গুণ, যা কাশি ও গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, মধু গলা আর্দ্র রাখে এবং জ্বালাভাব কমায়। এক চা চামচ আদার রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দু’তিনবার খেলে কাশি থেকে দ্রুত আরাম মেলে। চাইলে আদার চাও পান করা যেতে পারে—এটি গলার ব্যথা কমাতেও অত্যন্ত উপকারী।
3
6
তুলসি ও গোলমরিচের চা: তুলসির পাতা ওগোলমরিচ দুটোই অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর। পাঁচ-ছ’টি তুলসির পাতা জলে ফুটিয়ে নিন, তারপর এক চিমটি গোলমরিচ ও সামান্য মধু মিশিয়ে চা তৈরি করুন। দিনে দু’বার এই চা পান করলে সর্দি-জ্বর দ্রুত উপশম হয় এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
4
6
গরম জলের ভাপ নেওয়া: ঠান্ডার কারণে যদি নাক বন্ধ থাকে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তাহলে ভাপ নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর উপায়। গরম জলে সামান্য জোয়ান বা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে দিন। মাথায় তোয়ালে ঢেকে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ভাপ নিন। এতে নাকের ভিতরে জমে থাকা কফ নরম হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে আরাম মেলে। এটি গলার ফোলা ও মাথাব্যথাও কমায়।
5
6
হলুদ দুধ: সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে হলুদ দুধ একটি প্রাচীন ও অত্যন্ত কার্যকর ঘরোয়া ওষুধ। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন উপাদান অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিভাইরাল গুণে ভরপুর। এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে শোওয়ার আগে পান করলে শরীর গরম থাকে এবং সর্দি-কাশি দ্রুত সারতে সাহায্য করে।
6
6
নুনজল দিয়ে গার্গল করা: গলা ব্যথা বা জ্বালাভাব কমাতে গরম জলে নুন মিশিয়ে গার্গল করা সবচেয়ে সহজ ও উপকারী পদ্ধতি। এটি গলার জীবাণু নষ্ট করে এবং প্রদাহ কমায়। দিনে দু’তিনবার গার্গল করলে গলার জ্বালা দূর হয় এবং কণ্ঠস্বরও পরিষ্কার থাকে।