আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে জীবনের থেকে বড় শিক্ষক আর নেই। সেই কথা আরও একবার প্রমাণিত হল ব্রিটেনের এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতায়। ব্রিটেনের পশ্চিম সাসেক্স-এর ক্রলির বাসিন্দা রায়ান ম্যাকডোনাল্ড মাত্র ৩৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আর তার পরেই বদলে যায় তাঁর জীবন। নিজেকে ফিট করে তোলার শপথ নেন রায়ান, রায়ানের এই ফিট হয়ে ওঠার যাত্রা অনুপ্রাণিত করছে হাজার হাজার মানুষকে।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে রায়ান জানান, ২০১৬ সালে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলেন, বুকের পেশীতে টান লেগেছে। কিন্তু ক্রমেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দেখা যায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর হৃদস্পন্দন। ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করে অর্থাৎ বিদ্যুতের শক দিয়ে প্রায় তিন মিনিট পর তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে জীবনকে পুরোপুরি বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন রায়ান।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। হাসপাতাল থেকে ফিরেই জিমে যাওয়া শুরু করেন তিনি। রায়ান জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম শরীরচর্চার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না তিনি। কারণ আগে কোনও দিন জিমে যাননি তিনি। তবু হাল ছাড়েননি। ক্রমে শরীরচর্চা করতে করতে ৮০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরিয়ে ফেলেন তিনি। এখন ৪৭ বছর বয়সে পৌঁছে রীতিমতো বডিবিল্ডার হয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর সুগঠিত পেশী সমাজমাধ্যমে রীতিমতো চর্চার বিষয়। রায়ানের কথায় মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েই জীবনের পাঠ পেয়েছেন তিনি।
