আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভেরিকোস ভেইন এমন একটি অসুখ যাতে পায়ের বিভিন্ন শিরা নীলচে হয়ে ফুলে থাকতে দেখা যায়। আচমকা দেখলে বিষয়টি বেশ ভয়ঙ্কর মনে হয়। কিন্তু আদৌ কি এই অসুখ ভয়ঙ্কর? ভেরিকোস ভেন-এ আক্রান্ত ব্যক্তির পায়ের শিরাগুলি ফুলে যায়, বেঁকে যায় এবং ত্বকের নীচে দড়ির মতো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভেরিকোস শিরা হল ফুলে বড় হয়ে যাওয়া শিরা যা সাধারণত পায়ে দেখা যায়।
কেন হয় এমন? শিরার দুর্বল ভালভ: শিরার মধ্যে ভালভ থাকে যা রক্তের একমুখী প্রবাহ নিশ্চিত করে। যখন এই ভালভগুলি দুর্বল হয়ে যায় বা সঠিকভাবে কাজ না করে, তখন রক্ত পেছনের দিকে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং শিরার মধ্যে জমা হতে থাকে। এই কারণে শিরাগুলি প্রসারিত হয় ও ফুলে যায়।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
উচ্চ রক্তচাপ: শিরার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ভেরিকোস শিরার কারণ হতে পারে।
বংশগত কারণ: যদি পরিবারের কারও ভেরিকোস শিরা থাকে, তবে আপনারও এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন শিরার উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা ভেরিকোস শিরার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকা: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে পায়ের শিরায় চাপ পড়ে এবং ভেরিকোস শিরা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং পেটের আকার বৃদ্ধির কারণে শিরার উপর চাপ বাড়ে, যা ভেরিকোস শিরা সৃষ্টি করতে পারে।
বয়স: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিরার স্থিতিস্থাপকতা কমে যেতে থাকে এবং ভালভ দুর্বল হয়ে যেতে পারে, তাই বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
কী কী দেখে চেনা যাবে?
দৃশ্যমান শিরা: ত্বকের নিচে ফোলা, মোড়ানো, নীল বা বেগুনী রঙের শিরা দৃশ্যমান হয়। এগুলো দড়ির মতো মনে হতে পারে।
পায়ে ব্যথা বা ভারী লাগা: পায়ে, বিশেষ করে পায়ের নিচের অংশে ভারী লাগা বা ব্যথা অনুভব করা এর অন্যতম লক্ষণ।
পায়ে জ্বালা বা স্পন্দন: পায়ের শিরায় জ্বালা করা, স্পন্দনের মতো অনুভূতি হওয়াও এর লক্ষণ।
পায়ের পেশীতে টান ধরা বা ক্র্যাম্প: রাতে বা বিশ্রামের সময় পায়ের পেশীতে আচমকা টান ধরা বা ক্র্যাম্প হওয়াও এর উপসর্গ হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ভেরিকোস শিরা তেমন ক্ষতিকর নয় এবং শুধুমাত্র কসমেটিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি: দীর্ঘস্থায়ী ভেরিকোস শিরা শিরার কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে, যা ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি নামে পরিচিত। এর ফলে পায়ে ফোলা, ত্বকের পরিবর্তন এবং আলসার হতে পারে।
থ্রম্বোফ্লেবিটিস: ভেরিকোস শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে, যাকে থ্রম্বোফ্লেবিটিস বলা হয়। এটি বেদনাদায়ক হতে পারে, তবে সাধারণত মারাত্মক নয়।
রক্তপাত: কখনও কখনও, ভেরিকোস শিরা থেকে সামান্য আঘাত লাগলে রক্তপাত হতে পারে। বিষয়টি খুবই বিড়ম্বনার। এই ধরনের রক্তপাত বন্ধ করা খুবই মুশকিল হয়।
