আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিলের ঘটনা অনেক সময়ই রিয়েল লাইভ থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, আবার কখনও এর বিপরীতও ঘটে। ২০০৩ সালের বলিউড সিনেমা 'মুন্না ভাই এমবিবিএস'-এ গ্যাংস্টারের ভূমিকায় সঞ্জয় দত্ত, মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় তারযুক্ত ইয়ারফোন ব্যবহার করে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়েছিলেন। যুগ এগিয়েছে। বাজারে এসেছে ব্লুটুথ সংযোগকারী মাইক্রো হিয়ারিং ডিভাইস। অত্যন্ত ক্ষুদ্র এই যন্ত্র কানের গর্তে থাকলেও বোঝা দায়। বাস্তবেও পুলিশের ড্রাইভার ও কনস্টেবল নিয়োগের চাকরির পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থী এই ডিভাইস ব্যবহার করে চলচ্চিত্রের মুন্নাভাইয়ের মতই ক্যারামতি দেখাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেষ ধরা পড়েছেন। বর্তমানে শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে ২২ বছরের প্রতারক পরীক্ষার্থীর।
মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার ভোকরদাঁর বাসিন্দা কুশনা দলভি শনিবার মুম্বইয়ের ওশিওয়ারার রায়গড় মিলিটারি বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তাকে দেখেই তদারকির দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। ওই তরুণ পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তখনই দেখা যায় যে, কুশনার বাঁ কানে একটি মাইক্রো হিয়ারিং ডিভাইস রয়েছে, যা ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত। কুশনাকে দুই বন্ধু পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিল। ডিভাইসটি এতই ছোট যে তা বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল না।
জেরায় কুশনা জানিয়েছে যে, বন্ধু শচীন বাভাস্কার এবং প্রদীপ রাজপুত তাকে মাইক্রো হিয়ারিং ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর জানাচ্ছিল। শচীন এবং প্রদীপের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কুশনার কাছ থেকে একটি সিম কার্ড, মোবাইল ফোন এবং হিয়ারিং ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে।
