আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২২ এপ্রিল, পহেলগাঁও হামলা। উপত্যকায় ২৬জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে খুন করা হয়। তার প্রত্যাগাহতে ৬মে মধ্যরাত, ৭ মে ভোররাতে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এ হামলা চালানো হয় পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে। তারপর থেকেই শুরু হয় ভারত-পাক সংঘর্ষ। শনিবার দু’ দেশ অস্ত্রবিরতিতে সংঘর্ষ থেমেছে। তবে তার পরেও গুলির লড়াই চলল উপত্যকায়।  ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার উপত্যকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই চলে জঙ্গিদের।

ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে মঙ্গল সকালেই খবর আসে, উপত্যকায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। শুরু হয় তল্লাশি এবং সন্ত্রাস দমন অভিযান। সোপিয়ানে ঘণ্টা দুয়েকের গুলির লড়াইয়ে শেষমেশ তিন জঙ্গি খতম হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করেছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 13, 2025

 

 

জানা গিয়েছে, অভিযান প্রথমে শুরু হয়  কুলগাঁওয়ে । পরে লড়াই যায় সোপিয়ানের দিকে। 

অন্যদিকে, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় জড়িত তিন পাকিস্তানি জঙ্গির সন্ধানে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ছেয়ে গিয়েছে পোস্টার। ‘টেরর ফ্রি কাশ্মীর’ বার্তা-সহ এই পোস্টারগুলি কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার একাধিক জায়গায় চোখে পড়ছে।

পোস্টারে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন ভারতেরই অন্য প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক এবং একজন ছিলেন নেপালি নাগরিক।
পহেলগাঁও শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনাটি কাশ্মীর উপত্যকায় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অনন্তনাগের বাসিন্দা আদিল হুসেন থোকার এবং দুই পাকিস্তানি নাগরিক, আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই এবং হাসিম মুসা ওরফে সুলেমান এই ঘটনায় অভিযুক্ত।