আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার ৯ জুলাই দেশ জুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কয়লা খাদান, হাইওয়ে নির্মাণ, ইনস্যুরেন্স পরিষেবা মিলিয়ে প্রায় ২৫ কোটি কর্মী এই বনধের অংশ নিতে পারেন। এর ফলে দেশ জুড়ে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং তাদের সহযোগীদের একটি ফোরাম ‘সরকারের শ্রমিক-বিরোধী, কৃষক-বিরোধী এবং দেশ-বিরোধী কর্পোরেট-বান্ধব নীতির বিরোধিতা’ করার জন্য একটি সাধারণ ধর্মঘট বা 'ভারত বনধ্'-এর ডাক দিয়েছে। একটি বিবৃতিতে, ফোরাম ‘দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটকে সফল’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
বনধের ফলে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, কয়লা খাদান এবং কারখানা, সরকারি গণপরিবহণ ব্যবস্থা এবং সরকারি পরিষেবা ব্যাহত সম্ভাবনা রয়েছে। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের অমরজিৎ কৌর জানিয়েছেন, সারা দেশ জুড়ে কৃষক এবং গ্রামীণ শ্রমিকরাও এই প্রতিবাদে যোগ দেবেন। বনধের ফলে স্কুল এবং বেসরকারি অফিসগুলি প্রভাবিত হবে না। এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী রেল ধর্মঘটের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিক্ষোভের কারণে ট্রেন পরিষেবা বিলম্বিত হতে পারে বা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফোরামের অভিযোগ, কেন্দ্র গত ১০ বছর ধরে বার্ষিক শ্রম সম্মেলন আয়োজন করছে না এবং শ্রমিকদের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলেছে। চারটি শ্রম কোড আরোপ করে ইউনিয়নকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ব্যবসাকে আরও সহজ করার নামে নিয়োগকর্তাদের পক্ষ নিচ্ছে।
ফোরাম আরও অভিযোগ, অর্থনৈতিক নীতিগুলির ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, মজুরি হ্রাস পাচ্ছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধাগুলিতে সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে দরিদ্র, নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের দুর্দশার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও সরকারি বিভাগগুলিতে, তরুণদের নিয়মিত নিয়োগ দেওয়ার পরিবর্তে, অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগের নীতি, যেমন রেলওয়ে, এনএমডিসি লিমিটেড, ইস্পাত ক্ষেত্র এবং ক্যাডার শিক্ষক নিয়োগ দেখা গিয়েছে। যা দেশের বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর। দেশের ৬৫ শতাংশ জনসংখ্যা ৩৫ বছরের কম বয়সী। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা সর্বাধিক।
